ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পাইকগাছার শত শত ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত

ছবি: বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পাইকগাছার শত শত ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত

  • পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৪ মে, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে গোটা পাইকগাছা এলাকা। ঝড়ে বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি অথবা প্রাণহানী না ঘটলেও বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত ঘর-বাড়ি। উপড়ে গেছে হাজার হাজার গাছ-পালা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, তরমুজ ও মৌসুমী কৃষি ফসল।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন ইউএনও জুলিয়া সুকায়না। সুপেয় পানি ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ।

শনিবার দুপুরের পর আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ী ফিরে গেছেন আশ্রয় নেওয়া মানুষ।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার মধ্য রাতে আঘাতহানে উপকূলীয় পাইকগাছায়। রাত ১২টার দিকে ঝড়ের প্রথম ধাক্কা আসে। রাত যত গভীর হয় ঝড়ের গতি ততই বাড়তে থাকে। শনিবার সকালেও ঝড়ের প্রচণ্ড গতিবেগ লক্ষ করা যায়। দুপুরের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়। দেলুটী ও গড়ইখালী ইউনিয়নের মৌসুমী তরমুজ ফসল সহ পাকা বোরো ধান ও অন্যান্য কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, আলোকদ্বীপ আশ্রয়ণ প্রকল্প সহ পৌর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী জানান, শুক্রবার রাতভর এলাকার মানুষ উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিল। সরেজমিন গিয়ে দেখেছি আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে মানুষ ও গবাদী পশু একসাথে আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করায় ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে কোথাও কোন প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি। আগে থেকেই ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি শতভাগ এখনো নিরুপণ এখনো সম্ভব হয়নি। তবে ঝড়ের তাণ্ডবে এলাকার শত শত মানুষের বসতবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads