ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। অন্ধকারে পড়েছেন গ্রামীণ এলাকার প্রায় অর্ধেক গ্রাহক।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডব্লিউজেডপিডিসিও) আওতাধীন এলাকাতেও চিহ্ণ রেখে গেছে ফণি। খবর ইউএনবির।
শনিবার ফণির আঘাতে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার, লাইন ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ২৬ মিলিয়ন গ্রাহকের প্রায় ৪৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
আরইবির আওতাধীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে- চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরগুনা ও ফরিদপুর।
মঈন জানান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ শতাংশের মধ্যে ইতিমধ্যে ২৫ শতাংশ মেরামত করেছেন এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশের মেরামত কাজ চলছে।
পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, খুলনা ও বরিশালে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনার আগে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পরে তা ১৭০ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
‘শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই আমাদের বিদ্যুৎ বিতরণ পদ্ধতিতে সমস্যা হলেও বেশি ক্ষতি হয় শনিবার সকালের ঝড়ে’, যোগ করেন তিনি।
গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন খুলনা ও বরিশালের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা অন্ধকারে রয়েছে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের লাইন দ্রুত মেরামত ও ঠিক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, ২৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার গ্রাহক সমস্যায় পড়েছেন।
ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্তা ব্যক্তি।