গতি পাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্প

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা

ছবি : সংগৃহীত

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

গতি পাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

শিগগির শুরু হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। টার্মিনাল নির্মাণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে এবং দরপত্র আহ্বান করলে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সিভিল এভিয়েশনে দরপত্র জমা দেয়। আগামী ১৯ মার্চ দরপত্র খোলা হবে। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হলেই কার্যাদেশ প্রদানের মাধ্যমে শুরু হবে এই কর্মযজ্ঞ।

জানা গেছে, গত বছর এপ্রিলে এ প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মামলার কারণে তা ঝুলে যায়। পরবর্তীকালে মামলা নিষ্পত্তি হলে এই উদ্যোগে নতুন করে গতি আসে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ করতে সময় লাগবে অন্তত চার বছর। এ বছরের শেষ দিকে কাজ শুরু হতে পারে। সে হিসাবে ২০২৩ সালে নতুন টার্মিনালটি ব্যবহারের জন্য চালু হতে পারে। সরকার গত বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে তৃতীয় টার্মিনাল ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ১১ জুন প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো জাপানের নিপ্পন-কয়োই ও ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল, সিঙ্গাপুরের সিপিজি কনসালট্যান্ট এবং বাংলাদেশের ডিজাইন কনসালট্যান্টস লিমিটেড।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের কার্যাদেশ চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কার্যাদেশ দেওয়ার পর থেকে সময় গণনা শুরু হবে। ওই সময় থেকে ৪৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী মার্চের ১৯ তারিখে দরপত্র খোলা হবে। আধুনিক এই টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। বৃহৎ এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। মোট টাকার মধ্যে এই প্রকল্পে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন হচ্ছে দুই হাজার ৩৯৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। বাকি অর্থের পুরোটাই দেবে জাইকা।

বেবিচকের সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন টার্মিনাল থেকে ভিভিআইপি গেটের বিপরীতে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে একটি সাবওয়ে যুক্ত হবে। এই সাবওয়ের মাধ্যমে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যাত্রীরা গাড়িযোগে সরাসরি যেতে পারবেন এক্সপ্রেসওয়েতে। তাতে বাঁচবে সময়, পড়তে হবে না যানজটে।

এই টার্মিনাল ভবনের আয়তন হবে দুই লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটার। এর জন্য কার্গো ভিলেজের আয়তন হবে ৪১ হাজার ২০০ বর্গমিটার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads