কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রক্রিয়ায় স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিছুক্ষণের মধ্যে সাজা স্থগিতের আদেশ কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয় থেকে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির আবেদন জানানোর কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মুক্তি মিললে গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর রোডের এই বাসভবনেই থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার সকাল থেকেই সেখানে চলছে ধোয়া মোছার কাজ। মোতায়েন করা হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী। দিনভর আনাগোনা চলছে বিএনপি নেতাদের।
দণ্ড মাথায় নিয়ে প্রায় বছর খানেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বেগম জিয়া। এখান থেকেই জামিনে বের হবেন তিনি।
এর আগে শর্ত সাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বিদেশে গমন না করার শর্তে প্রধানমন্ত্রীর আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৪০১ ধারা অনুযায়ী পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের অস্থায়ী জামিন পাচ্ছেন দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া।