খামারিদের প্রণোদনার অর্থ পেয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

দৌলতপুরে দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ

খামারিদের প্রণোদনার অর্থ পেয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা

  • দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
  • প্রকাশিত ৫ মার্চ, ২০২১

দৌলতপুরে করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক দুগ্ধখামারিদের জন্য বরাদ্দ হওয়া সরকারের প্রণোদনার দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য বরাদ্দ হওয়া এ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে মসজিদের খাদেম, দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের গেট সংলগ্ন ওষুধ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত দুগ্ধখামারিরা।

জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনার আওতায় আনতে গত আগস্ট মাসে দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকার ২ হাজার ৪৬৬ জনের নামের তালিকা পাঠান দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মালেক। এ তালিকায় বাদ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক দুগ্ধখামারিসহ বিভিন্ন খামারের নাম। আর এ তালিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা নেওয়া হয় দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে গড়ে ওঠা দালালচক্রের। তালিকা প্রস্তুত করার সময়ও ওই দালালচক্র বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ হাতিয়ে নিয়ে খামার নেই- এমন সব ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায় এমন অভিযোগও রয়েছে।

আর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের গেট সংলগ্ন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে। তারা জানান, পশু হাসপাতাল গেট সংলগ্ন ওষুধ ব্যবসায়ী নুরু, নাহারুল, মসজিদের খাদেম তারিকসহ চা বিক্রেতা থেকে শুরু করে প্রতিটি দোকানদার খামারিদের জন্য বরাদ্দ হওয়া প্রণোদনার অর্থ পেয়েছেন।

দৌলতপুরের তেলিগাংদিয়া গ্রামের দুগ্ধ খামারী আব্দুস সামাদ খান বলেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও সরকারের দেওয়া প্রণোদনার অর্থ পাইনি। তিনি জানান, দৌলতপুরের ২৫টির বেশি ছোট-বড় দুগ্ধ খামার রয়েছে, যারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ সরকারের প্রণোদনার টাকা তারা না পেয়ে যাদের খামার নেই, গরু, ছাগল, মুরগি কিছুই নেই তারা পেয়েছেন টাকা। তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক সরকারের এই অর্থ লুটপাটের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক বলেছেন, এখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই, ভোটার আইডি কার্ড দেখে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আগস্ট মাসে তালিকা যখন প্রস্তুত করা হয় তখন অনেকের খামারে গরু ছিল- এখন নাও থাকতে পারে। যারা এ অর্থ পাইনি তারা অভিযোগ করতেই পারে। তিনি বলেন, প্রায় আট হাজার ব্যক্তির মধ্য থেকে বাছাই করে ২৪২৬ জনের নামের তালিকা পাঠানো হলে তারাই সরকারের প্রণোদনার আওতায় আসে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক খামারিরা সরকারি প্রণোদনার অর্থ পায়নি- এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads