আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
প্রলোভন দেখিয়ে ২ শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়াতে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। বুধবার(১২ জুলাই)দুপুরে সদর উপজেলার খাজানগর ব্যাপারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী শিশুর(৫) মা বলেন, আমার স্বামী ও দেবর খাজানগরে অটো চাল মিলের শ্রমিক। দুপুরে তাদের খাবার দেয়ার জন্য আমি মিলে যায়। বাড়িতে আমার ৫ বছর বয়সী ও দেবরের ৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা একা ছিল। এই সুযোগে শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী জমির হোসেনের ছেলে ষাটোর্ধ্ব সোবাহান হোসেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে মজা কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সোবাহান শিশু কন্যাদের তার নিজ ঘরে ডেকে ধর্ষণ করে। পরে তাদের হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। বাড়িতে ফিরে এসে দেবরের মেয়ে ওর মায়ের কাছে ঘটনা বলে দেই। এ ঘটনার পর ভয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে থাকে। মেয়েকে খুঁজে বের করে আদর করে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে সোবহান কাকা তার সাথে কি করেছে তা আমার কাছে বলে দেই। বিষয়টি নিয়ে সোবাহানের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন কোন ব্যবস্থা নেইনি। পরবর্তীতে মেয়ের গোপনাঙ্গে ব্যাথা অনুভব করায় সন্ধ্যায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি। কন্যা শিশুর বাবা বলেন, ঘটনার সময় আমি মিলে ছিলাম। বাড়ি থেকে বিষয়টি জানালে আমি আমার ও ভাইয়ের মেয়েকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করি । সোবহানের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক(আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন,ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে দুই কন্যা শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)র রির্পোট পাওয়ার পর ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা যাবে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আশিকুর রহমান, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন যার মামলা নং-২১, তাং- ১২/০৭/২০২৩ইং। আসামী পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।