কুলাউড়ায় ইভটিজারদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুলাউড়ায় ইভটিজারদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিনারমহলে স্থানীয় শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েদেরকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় আকমল হোসেন রুমেল নামক এক ব্যক্তিকে ব্রীজ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় দুই বখাটে এবং কলেজ ছাত্র রাহাত হোসাইন রাজকে উপর্যপূরি পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনায় ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও মূল ইভটিজারকে পুলিশ আটক করতে না পারায় এলাকাবাসী নেমেছেন আন্দোলনে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইভটিজারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর এক মানব বন্ধনের আয়োজন করেন ঐক্যবদ্ধ মিনারমহল গ্রামবাসী। মানব বন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী মিরজান আলীর সভাপতিত্বে ও জুবেল আহমদ জেবলুর পরিচালনায় মানব বন্ধনে একাতœতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হোসেন মনুসর, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আলম, সমাজসেবক সৈয়দ তাহির আলী আজমল, মাহমুদুল ইসলাম তারা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক সুরমান আহমদ, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া জেবু, ছাত্রলীগ নেতা রিপন বক্স, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম।

জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মীরের গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আকমল হোসেন রুমেল (৪৫) গত ২৪ সেপ্টম্বর দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় একিদত্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর দ্বিতীয় শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে (৭) কে স্কুল থেকে আনতে যান। মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে স্থানীয় মীরেরগ্রাম ও মুকুন্দপুর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে বাড়–য়া ছড়া ব্রীজের উপর দেখতে পান বখাটে বেলাল হোসেন রানা ও জয়নাল আবেদীন রনি ব্রীজের উপরে দাঁড়িয়ে স্কুলগামী ছাত্রীদের ইভটিজিং করছে। এসময় আকমল হোসেন ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে বখাটে রানা ও রনি তাকে ব্রীজের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২৫ ফুট নিচে ফেলে দেয়। এতে আকমল হোসেন গুরুতর আহত হলে তার কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং বাম হাতের কব্জিতে জখম হয়। আকমলের চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তাঁর ভাতিজা কুলাউড়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাহাতুজ্জামান রাজ। বখাটে ইভটিজাররা তার ওপরও হামলা চালায়। এতে তার এক হাতের জয়েন্ট ছুটে যায়। পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্থর করা হয়।

ঘটনার পর এলাকাবাসী ধাওয়া করে বখাটে ইভটিজার জয়নাল আবেদীন রনি (২০) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও ঘটনার মূল হোতা ইভটিজার পাশ্ববর্তী রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের রমজান মিয়ার বখাটে ছেলে বেলাল হোসেন রানা (২২) কে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়ারদৌস হাসান জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads