আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন হচ্ছে। উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন আইন সংসদ ও বিচার মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক ও কুমিল্লা ৬ সংসদীয় আসনের এম পি আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার। সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ কে এম সামছুল আলম। অনুষ্ঠানে জেলা জজ শীফ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের বিচারক, কর্মকর্তাগণ, গণপূর্ত বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ ও সূধীজন উপস্থিত থাকবেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লায় আদালতের স্থান সংকটে পড়ে। এই বিভাগের বিচারক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ও স্থানের সংকট দেখা দেয়। এতে বিচারিক কাজ অনেকটা ব্যহত হতে থাকে। জেলা জর্জশীপের ব্যবহৃত আদালতে স্থান ভাগাভাগি কওে বিচার কাজ চালিয়ে যেতে হয় জুডিশিয়াল বিভাগ সংশ্লিস্টদের। আদালতের স্থান সংকটের কারণে একই কক্ষে সকাল ও বিকাল পালাক্রমে দুই কোটের বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এতে করে আদালতের বিচারক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনজীবী ও সর্বপোরি হাজার হাজার বিচার প্রার্থীদেরও সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ সব অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থাপত্য পরিকল্পনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ বর্গফুট আয়তনের ১২ তলা ভিত বিশিষ্ট ১০ তলার এ ভবন নির্মাণ করে। নব নির্মিত এই ভবন নির্মাণে ৬২ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস কনস্ট্রাকশন এন্ড সাপ্লাইয়ার্স দৃষ্টি নন্দন এই ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন করে।
বিচার প্রার্থী জেলার মেঘনা উপজেলার আকমল হোসেন বলেন, আদালতের স্থান সংকটের কারণে অন্যদের মত আমাকেও বেগ পোহাতে হয়েছে। নতুন ভবন আদালতের স্থান সংকট দুর করবে। বিচার কাজ ত্বরান্বিত করতে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
গণপূর্ত বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তার বলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যেগে এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদাল ভবনটি নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ ভবনের কাজ মান সম্মত ও দৃষ্টি নন্দন হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করেছে।
জেলা পি পি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগ পৃথিকীকরণের পর সারাদেশের মত কুমিল্লায়ও কাজ শুরু করে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবকাঠামোর ভেতরই এ জেলার ১৭টি উপজেলার ম্যাজিস্ট্রেসির কাজ করে আসছিলো। এতে স্থান সংকট থাকায় বিচার কাজ পরিচালনায় যথেষ্ট বেগ পোহাতে হচ্ছিলো। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মহতী উদ্দ্যেগ ও মাননীয় আইন মন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনটি নির্মিত হয়েছে। এতে করে আদালত ভবনে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়াও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির বিচারিক কাজ আগের চাইতে নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হবে এবং গতি পাবে।