কুমিল্লায় সাড়ে ৬ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

কুমিল্লায় সাড়ে ৬ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) কুমিল্লায় বোরো ধান আবাদ ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় ১৭ উপজেলায় বোরো আবাদের জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৪০ হেক্টর। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৮ টন। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৬২ হেক্টর এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টন। উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো আবাদে জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৪৯ হেক্টর এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৮ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলার উপজেলাভিত্তিক বোরো আবাদের জমি ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, চান্দিনায় বোরো আবাদের জমি ৯ হাজার ৮৫৫ হেক্টর এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার ৩৩৫ টন। দেবিদ্বারে জমি ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৪৯ হাজার ৪৫ টন। মুরাদনগরে জমি ১৭ হাজার ৮১৩ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৭০ হাজার ৮০৫ টন। দাউদকান্দিতে জমি ৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৩১ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন। হোমনায় জমি ৫ হাজার ৮৩৭ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ২৩ হাজার ২৮ টন। আদর্শ সদরে জমি ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৩০ টন। বুড়িচংয়ে জমি ৯ হাজার ২৯০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৩৭ হাজার ২২০ টন।  ব্রাহ্মণপাড়ায় জমি ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৩৪ হাজার ৮৫০ টন। চৌদ্দগ্রামে জমি ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৪৯ হাজার ২৮০ টন। লাকসামে জমি ৮ হাজার ৭০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ১৩ হাজার ৮২০ টন। নাঙ্গলকোটে জমি ১২ হাজার ৬৫০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৫৪ হাজার ২১০ টন। বরুড়ায় জমি ১৪ হাজার ৬০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৫৭ হাজার ২৮০ টন। মেঘনায় জমি ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ১৪ হাজার ১০০ টন। তিতাসে জমি ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ২৬ হাজার ৪৬০ টন। মনোহরগঞ্জে জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৪৬ হাজার ১৪০ টন। সদর দক্ষিণে জমি ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৬২ হাজার ১৬০ টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, বোরো আবাদের জমির আওতা বাড়ানো ও উৎপাদন বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য। বর্তমান সরকার বোরো আবাদে প্রণোদনা হিসাবে বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের দিচ্ছে।

এতে কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছে। আগামী বোরো আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে কৃষি বিভাগও কৃষকদের পাশে থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads