সারা দেশ

কিশোরগঞ্জে কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে শিল্পীদের মশাল মিছিল

  • ''
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

হাতে মশাল, মুখে বাধা কালো কাপড়। তার উপর ক্রস চিহ্ন কারোর মুখে কোন কথা নেই, নেই কোন স্লোগান। সামনে একজন ড্রাম বাজিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সাদা একটি কাপড়ে মোটা দাগে লেখা “শিল্পীদের মুখ বন্ধ করা যায় না” ”যতই করো ছলাকলা, ছাড়তে হবে শিল্পকলা” তারপর সেই মশাল মিছিলটির শহর প্রদক্ষিণ।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় এমনি এক দৃশ্য দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের জেলা শহরে। শিল্পীদের একটি দল শহরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বর থেকে বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে গিয়ে শেষ করে এই মৌন মশাল মিছিল।

শিল্পীরা জানায় কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের অপসারণের বিরুদ্ধে তাদের এই মৌন মিছিল।

মিছিলের পরিচিত দৃশ্য স্লোগান নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দোলনের সম্নয়ক ইফতাকার হোসেন সাকিব বলেন, শিল্পকলা সংস্কারে আমাদের ৪দফা দাবির আন্দোলনের আজ ১৩তম দিন চলছে। এখনো আমরা কোন সমাধান পাইনি। অপরদিকে বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে যেনো আন্দোলন থেকে সরে যাই। আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে কালচারাল অফিসার নানা কৌশলে আমাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু শিল্পীদের মুখ বন্ধ করা যায় না। প্রতিবাদের হাজারটা পথ খোলা আছে। সেটাই আমরা দেখিয়েছি।

কবি আমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের মুখে কালো কাপড় বাধা ছিল কিন্তু তার মধ্যেও ক্রস চিহ্ন। মানে আমাদের মুখে বা চোখে ধোলা দেওয়া যাবে না। আমরা অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে নেমেছি কোন অপশক্তিই আমাদের কে থামাতে পারবে না। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে আশা করব দ্রুত এর সমাধান দিবেন কর্তৃপক্ষ।

দেশের জনপ্রিয় মাইম অভিনেতা রিফাত ইসলাম বলেন, শিল্পীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে রুখতে শিল্পীদের মুখ বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। অভিনেতার মুখ বন্ধ করে দিলে সে মূখাভিনয়ে তার গল্প সে ঠিকই বুঝিয়ে দিবে। আমরাও আশা করি জনতাকে মাইম মশাল মিছিলে বোঝাতে পেরেছি যে আমাদের কথা বলার অধিকারেও থাবা বসানো হয়েছে। কিন্তু আমরা থামার পাত্র না।

যোগদানের পর থেকেই শিল্পীদের শিল্পকলাবিমুখ সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার তানিয়া ইসলাম ঝুমুরের বিরুদ্ধে। তার অপসারণসহ ৪দফা দাবিতে গত ৮সেপ্টেম্বর থেকে শিল্পীরা শিল্পকলা সংস্কারে আন্দোলনের ডাক দেয়। এর পর থেকে নানা কৌশলে শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি, সংঘাত ঘটানোর চেষ্টা, ভুয়া স্মারকলিপি প্রেরণ, হুমকি-ধামকিসহ বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads