কালিহাতী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লতিফুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ফলে স্থানীয় ডিলাররা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ডিলারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে। তবে ঘুঘ গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির ডিলারদের নিকট থেকে ঘুষ নিয়েছেন এমন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লতিফুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার নিয়োগের বিনিময়ে ডিলারদের কাছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লতিফুর রহমান টাকা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ার কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন ডিলারদের উপর। তিনি অর্থের বিনিময়য়ে আওলাতৈল ডিলার জিন্নাহ’র পরিবর্তে তার ভাই ইয়াছিনকে গোপনে ডিলারশিপ দেন। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমানের যোগসাজসে ওই ডিলার ইয়াছিন ২৩০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রিকালে ১৪২ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ডিলার কোরবান আলী বলেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটওয়ারী গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কালিহাতীতে এসে তদন্ত করেন। এসময় আমাদের কালিহাতীর খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির ডিলারদের চিঠি দিয়ে ডাকা হয়। ডিলাররা জানান কালিহাতী উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক টন প্রতি ১২৫ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। টাকা দিতে না চাইলে ডিলারশিপ বাতিল করার হুমকি দেন ও দুর্ব্যবহার করেন তিনি। আরো বলেন এ টাকা নেতা ও কর্মকর্তাদের দিতে হবে।
কালিহাতী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এদিকে টাঙ্গাইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটওয়ারী বলেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা কালিহাতীর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় উর্ব্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট পাঠানো হয়েছে।