নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ ও ঘর ভেঙে পড়ে মা-মেয়েসহ সাতজনের মৃত্যু। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫০ জন। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসময় কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জলঢাকায় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, ধর্মপাল ইউনিয়নের খচিমাথা গ্রামের আলম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম ও তার তিন মাসের মেয়ে এবং মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ি মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান।
ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বলেন, প্রচন্ড ঝড়ে একটি গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়লে চাপাপড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমাইয়া ও তার মেয়ের। তাছাড়াও ঝড়ের কারনে গাছ চাপা পড়ে আশিকুরের মৃত্যু হয় বলে জানান জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। এ উপজেলায় ঝড়ের সময় অন্তত ৫০ জন আহত হন বলে জানাগেছে।
ডোমার উপজেলায় ঝড়ে চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ডোমার থানার এসআই আরমান আলী। এরা হলেন- কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোতলগঞ্জ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আবদার আলী , ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জামিউল ইসলাম, একই ইউনিয়নের শাখারীপাড়া গ্রামের শুকারু মামুদের স্ত্রী খদেজা বেগম ও গোমনাতি ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার গ্রামের ধৌলু মামুদের ছেলে আব্দুল গণি। নিহতরা ঝড়ের সময় বাড়িতে ছিলেন।প্রচণ্ড বাতাসে ঘর ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তিন উপজেলার বোরো, পাট, ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আজাদ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ। তালিকা হাতে পেলে সরকারিভাবে ত্রাণের বিতরণ করা হবে।