টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার. ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কলমাকান্দায় বাউশাম, বিশরপাশা, বরুয়াকোনা ও বড়খাঁপন কাঁচা ও পাঁকা সড়কের উপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। এতে করে উপজেলায় রাস্তা-ঘাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার মধ্যে রাত থেকে অতি বর্ষণে কারণে সীমান্তবর্তী গনেশ্বরী নদী , মঙ্গলেশ্বরী নদী, মহাদেও নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে ফুলে-ফেঁপে ওঠে পুরো উপজেলার উব্দাখালী নদী। উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ভারত থেকে আসা মহাদেও নদী তীব্র পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট স্রোতের কারণে নদীর গর্ভে ১০ বসতঘর ধসে পড়েছে।
উপজেলায পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলসহ গ্রাম-জনপদ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলী জমিসহ বিস্তীর্ণ গোচারণ ভূমি। দু,দিন ধরে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার জনসাধারণ। এতে উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ মানুষ পানি বন্দী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোববার দুপুরে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ। এদিকে উব্দাখালী পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলসহ পুকুর ও জমিতে চাষ করা সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৪ একর বীজতলা ও ৫১০ হেক্টর আউশ জমির চাষ করা সবজিসহ নানা ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।গত দুই দিনে সকাল পযন্ত কলমাকান্দায় ১২৫ মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অনিক রহমান জানান টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় তিন শতাধিক পুকুরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি হলে আরো মৎস্য চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি ঢলে কলমাকান্দা উপজেলায় বড় বন্যার আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।