করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে চীন-ইতালিকে ছাড়িয়ে এক নম্বরে উঠে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ১১৩ জন, যা গোটা বিশ্বের মধ্যেই সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ৪৬১ জন। করোনা ভাইরাসে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এখন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে ৮৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে রেকর্ড ১৭ হাজারের বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। মারা গেছেন ২৬৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ দাঁড়ালো।আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮২ জন। সেখানে এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৯ জন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ৮০ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ১১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই নিউ ইয়র্কে। অঙ্গরাজ্যটি প্রায় ৪০ হাজার মানুষের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ধরা পড়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার। গেল সপ্তাহে প্রায় ৩৩ লক্ষ লোক বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে, যা ১৯৮২ সালের আগের রেকর্ডের প্রায় ৫ গুণ বেশি।
সেই সঙ্গে ফেডারাল সরকার ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাকে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।
আর এ অবস্থায় প্রতিদিন মানুষকে সচেতন করে চলেছেন বাংলাদেশি চিকিৎসকেরা ।
নিউইয়র্কে কর্মরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, আপনি যা-ই ধরবেন সাবধানে ধরতে হবে। হয়তো একটি দরজার লক খুলছেন, তখন গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
এই বাংলাদেশি চিকিৎসক জানান, আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে অবশ্যই বাসা-বাড়িতে কোয়ারেন্টােইনে থাকতে হবে।
ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লুতে ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। কিন্তু করোনায় এমন পরিস্থিতি এখনো হয়নি। আপনি যদি অসুস্থ হন তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে চীন। করোনার উৎস দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ জনই রয়েছে, আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৭ জন।
করোনা মহামারিতে রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২১৫ জনে। একদিনে নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ১৫৩ জন, মোট ভুক্তভোগী ৮০ হাজার ৫৮৯ জন।