এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেবে রাবি

আগের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে

সংরক্ষিত ছবি

ফিচার

এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেবে রাবি

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ অগাস্ট, ২০১৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আবারো এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এ বছর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আগের মতো এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। প্রশ্নের মান বণ্টনের ক্ষেত্রে আগে যেভাবে করা হতো, সেভাবেই হবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এমসিকিউ পদ্ধতির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে আসন সংখ্যা বাড়বে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন জানান, দুটি বিভাগে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স ও ব্যাংকিং ইন্স্যুরেন্স বিভাগে ১০টি করে আসন বেড়েছে এবং ব্যবসা ও বাণিজ্য আইন বিভাগে রয়েছে ৫০টি আসন। এই হিসাবে মোট আসন বাড়বে ৭০টি।

তিনি আরো জানান, এ বছর এমসিকিউর পাশাপাশি দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে আগামী বছর এ সুযোগ থাকবে না এবং লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেদনের নিয়ম : ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ৫৫ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে। ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের বাছাই করে পাঁচটি ইউনিটের প্রতিটিতে ৩২ হাজার পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় প্রতি ইউনিটে ৩০০ টাকা মূল ফি, সেই ইউনিটের বিভাগ প্রতি ৬০ টাকা এবং ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ক্লাস শুরু হবে ২১ জানুয়ারি।

 ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ব্যবসা ও বাণিজ্য আইন নামের একটি নতুন বিভাগে ৫০টি আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা : ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ-৩ সহ মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে। বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০সহ মোট জিপিএ-৮ থাকতে হবে।

ইউনিটভুক্ত অনুষদগুলো হলো : ‘এ’ ইউনিট- কলা ও চারুকলা অনুষদ, ‘বি’ ইউনিট- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ‘সি’ ইউনিট- বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, ‘ডি’ ইউনিট- জীব, ভূবিজ্ঞান ও কৃষি অনুষদ, ‘ই’ ইউনিট- সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads