বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান কতটা সক্ষম হবে, আদৌ পারবে কি-না বা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ব দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়ে বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে কি-না, তা নিয়ে সর্বত্র চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ইরানকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা আঁচ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের। ইরাক যুদ্ধ ও আরব বসন্তে বিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এখনো ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যেই নতুন করে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়েও ভাবছে দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা। তবে একটা বিষয় এখানে খুবই স্পষ্ট, উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশই যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি আর চায় না। সন্ত্রাস দমনের নামে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য মোতায়েন বিষয়টিকে আরব নেতারা আর ভালোভাবে নিতে পারছেন না। খবর : বিবিসি, পার্সটুডে, আনাদোলু এজেন্সি ও আলজাজিরার। সার্বিক পরিস্থিতিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে অনেকের মাঝেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লাখ লাখ পোস্টে সাধারণ মানুষও এ আশঙ্কা করছেন। লাখ লাখ মানুষ হ্যাশট্যাগ দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শব্দবন্ধ লিখছেন। এরই মধ্যে সোলেমানি হত্যায় ক্ষুব্ধ ইরানের জেনারেল গোলাম আলি আবু হামজাহ হরমুজ প্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার বাহিনী ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধজাহাজসহ পারস্য উপসাগর ও ইসরাইলের নিকটবর্তী প্রায় ৩৫টি মার্কিন স্থাপনার দিকে তাক করে আছে বলে জানান তিনি।
শুধু তা-ই নয়, প্রতিবেশী দেশ ইরাক ও তুরস্ক সমর্থন জানিয়েছে ইরানের প্রতি। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটা বড় ধরনের ধাক্কাই বলা যায়। গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে হামলা চালিয়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরান ও ইরাকের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের সঙ্গে এরদোগান ফোনে কথা বলেন।
ফোনালাপে নেতারা ওই অঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়েও আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে এরদোগানের দপ্তরের বরাতে ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, দুই প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্র আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এ অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। যে কোনো সংকট নিরসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও তারা একমত হয়েছেন। এরদোগান ইরাকের প্রেসিডেন্ট সালিহকে বলেছেন, ইরাককে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোন্দলের ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হতে দেয়নি তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বদলার দাবি উঠেছে ইরাকেও। সোলাইমানির বিদায় অনুষ্ঠানে লাখ লাখ ইরাকি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বদলা নেওয়ার দাবি তোলে। যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক স্লোগানে কার্যত ভেসে যায় ইরাকের রাজপথ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধের ইঙ্গিত জানিয়ে মসজিদের চূড়ায় যুদ্ধের লাল ঝান্ডা উড়িয়েছে ইরান। এর আগে শনিবার বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে মার্কিন সেনাদের বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের কোম প্রদেশে মসজিদ জামকারানের সর্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ানো হয়। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইরান জামকারান মসজিদে এ ধরনের পতাকা ওড়ালো। পতাকাটিতে লেখা, যারা হোসেনের রক্তের বদলা নিতে চায়। যদিও বাগদাদের মার্কিন স্থাপনায় কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ওই হামলায় একযোগে ৫টি রকেট ছোড়া হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই পতাকা ওড়ানোকে সোলাইমানি হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইরানের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকে একে সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেও বিবেচনা করছেন। শিয়া সংস্কৃতিতে লালপতাকা দিয়ে অন্যায় রক্তপাতের বদলা নেওয়ার প্রতীক। তবে যুদ্ধ মানেই অসংখ্য মৃত্যু, হানাহানি, রক্তপাত। তাই যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির ৭০টি শহরের লোকজন রাস্তায় নেমে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। এ সময় তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরো তিন হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ জানান।
শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের সামনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী যুদ্ধবিরোধী শ্লোগান দেওয়ার পর কয়েক ব্লক দূরে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে মিছিল নিয়ে যায়। তারা নো জাস্টিস, নো পিস; যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে যাও বলে স্লোগান দেয়। এর পাশাপাশি নিউইয়র্ক, শিকাগোতেও যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়। একজন নারীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী ‘কোড পিঙ্ক’-এর উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের বহু বড় ও ছোট শহরে এ ধরনের বিক্ষোভ হয়।
ওয়াশিংটনের প্রতিবাদ সমাবেশে অভিনেত্রী ও আন্দোলনকারী ৮২ বছর বয়সী জেন ফন্ডা বলেন, এখানে উপস্থিত তরুণদের জানা উচিত, তোমাদের জন্মের পর থেকে যতগুলো যুদ্ধে লড়া হয়েছে সেগুলো হয়েছে তেলের জন্য। আমরা তেলের জন্য আর কোনো জীবন নষ্ট করতে, লোকজনকে হত্যা করতে ও পরিবেশের ক্ষতি করতে পারি না।
এছাড়া গত শনিবার ট্রাম্পের এক টুইট বার্তা প্রকাশের পর সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এক ওয়েবসাইট। নিজেদের ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স বলে পরিচয় দিয়েছেন হ্যাকাররা। ট্রাম্পের বিকৃত ছবি দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোসিটরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সাইটে। ছবিটিতে দেখা যায় ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের মুষ্ঠি ট্রাম্পের মুখমণ্ডলে আঘাত করছে এবং তার মুখ থেকে রক্ত ঝরছে। সন্দেহের তীর ইরানের দিকে থাকলেও ঘটনাটির পেছনে মূল হোতা কারা সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
তবে সোলাইমানির হত্যাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় ইরাক ছাড়তে শুরু করেছেন তেল কোম্পানির যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা। শুক্রবার বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জরুরিভিত্তিতে ইরাক ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়। তারপর থেকেই দক্ষিণ ইরাকের তেলের শহর বসরায় অবস্থিত তেল কোম্পানিগুলোতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ইরাক ছাড়তে শুরু করেন। ইরাকের তেল মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিদেশি অনেক কর্মকর্তাই ইরাক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বসরা এয়ারপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশের বেশ কয়েকজন নাগরিককে দেখা গেছে। তবে ইরাকি কর্মকর্তারা বলছেন, এতে তেল উৎপাদন, রপ্তানিসহ অন্য কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।
অন্যদিকে সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে দুটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ব্রিটেন। রোবাবর দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, ব্রিটিশ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, শনিবার রাতে সরকারি এক নির্দেশনায় পারস্য উপসাগর এবং ওমান সাগরের মাঝে হরমুজ প্রণালীতে সামুদ্রিক টহল পুনরায় শুরু করতে যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস মন্ট্রোজ ও এইচএমএস ডিফেন্ডারকে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ৩০ শতাংশ উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে হরমুজ প্রণালী হয়ে বিভিন্ন দেশে যায়।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। ট্রাম্প যতই হম্বিতম্বি করুক পাল্টা হামলার আতঙ্কে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অপ্রচলিত যেকোনো হামলার আশঙ্কায় নিজ দেশে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি ইরানের রাগ প্রশমনে দিচ্ছে প্রলোভনও। বলা হচ্ছে, যদি ইরান প্রতিশোধ না নেয় তবে দেশটিতে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা তো হবেই, উল্টো দেওয়া হবে সহায়তা।
ইরানের সাবেক কূটনীতিক আমির আল-মুসাভির বরাত দিয়ে শনিবার এমন তথ্য জানায় তুরস্কের দৈনিক সাবাহ। আমির আল-মুসাভি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, একজন আরব মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আমার কাছে সংবাদটি আসে। তিনি যা বললেন তার অর্থ দাঁড়ায় এই- ইরান যেন যুক্তরাষ্ট্রের এ অপরাধের প্রতিশোধ না নেয় বা প্রতিক্রিয়া যেন না দেখায়। ইরানকে দেওয়া এ টোপ আদৌ কাজ করবে কি-না, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দিহান। তবে কীভাবে বা কোথায় ইরান সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেবে, পাল্টা সামরিক হামলা চালাবে, নাকি সাইবার আক্রমণ হবে তা নিয়ে সারা বিশ্বের সামরিক-কৌশল বিশেষজ্ঞরা নানা রকম বিশ্লেষণ দিচ্ছেন।
ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ মারান্দি জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তাদের আধিপত্য ধরে রাখার পরিকল্পনা পরাজিত করার জন্যই সোলাইমানিকে হত্যা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে, ইরাককে দখল করে রাখতে, লেবাননে ইসরাইলি দখলদারি বজায় রাখা। চেয়েছিল সৌদি আরব এবং ইয়েমেনকে পদানত করতে। জেনারেল সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের এসব পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্য কায়েমের চেষ্টায় তিনি ছিলেন কাঁটার মতো। তাই তাকে হত্যা করা হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র যা ভেবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা পূরণ হবে না। ট্রাম্প সরকার বোকার মতো কাজ করেছে। এটা ছিল যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এতে ইরান আরো ক্রুব্ধ ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলা করতে আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে। হামলায় একজন ইরাকি কমান্ডারও নিহত হওয়ায় ইরাক ও ইরান উভয় দেশের বিরুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্র এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ইরানি এবং ইরাকিদেরও নানা ধরনের সক্ষমতা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দুর্বল জায়গা আছে। ইরানিরা অনেক ভাবনাচিন্তা করে উপযুক্ত জবাব কী হবে তা ঠিক করবে- যাতে কৃতকর্মের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুশোচনা করতে হয়। তবে কী হবে সেটা এখনই বলা যাবে না। ইরান কোনো আক্রমণ চালালে যুক্তরাষ্ট্র আবার পাল্টা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব সামলে নেওয়ার ব্যাপারে ইরান কতটা প্রস্তুত জানতে চাইলে, মারান্দি জানান, ইরান যে শাস্তি দেবে এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। ইরানিরা যুদ্ধ চায় না। তবে যুদ্ধ বাধলে তারা পালিয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে ইরানের শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেনসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলজুড়ে থাকা মিত্র দেশগুলো। এছাড়া ইরান থেকে লেবানন পর্যন্ত যে শিয়া ক্রিসেন্ট রয়েছে তার পাশাপাশি সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানের সুন্নি সম্প্রদায়ও ইরানের মিত্র। জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুতে তারা এক হয়ে আরো শক্তিশালী হবে।