চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ আজাদ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা কর্মীদের হামলায় মারত্মক আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কচুয়া আওয়ামীলীগের উভয় গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার সকাল ১১টায় পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দলীয় সাধারণ লোকজন আতঙ্কিত হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে। যুবলীগের হামলায় সভা পন্ড হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ স্টেজে ওঠার সময় আওয়ামী যুবলীগের কিছু উশৃংখল যুবক তার উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করেন। এসময় চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করতে যেয়ে তারাও হামলার শিকার হন।
এ হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্র লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলম চৌধূরীসহ ৬ জন হামলার শিকার হন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধূরী সোহাগ পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা মো. গোলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার কারণে পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নামধারী কিছু উশৃংখল লোক আমার এবং আমার লোকজনের উপর এই হামলা করেছে বলে দাবি করেন। তবে এটি সংদস্যে ও পুলিশের উপস্থিতিতে হওয়ায় এ ব্যাপারে কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি। বিষয়টি স্থানীয় দলীয়ভাবে কী বিচার হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর আলমগীর বলেন, চলার পথে মতাদর্শ থাকতে পারে, তা পরিহার করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের জন্য সবাই মিলে মিশে কাজ করতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। যারা সংসদ সদস্য মহোদয়ের অনুষ্ঠানে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে তারা কখনোই দলের মঙ্গল চায় না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কচুয়া থানার ওসি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনিও এখানে রাজনৈতিক সমস্যা আছে বলে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস যাবত কচুয়ায় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম হোসেনের কর্মীদের নেতা-কর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং মারা-মারি হয়ে আসছে।