কক্সবাজার রোহিঙ্গা ডাকাতরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত এক মাসে ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা ডাকাতরা। এছাড়া গত এক বছরে এই সংখ্যা এক ডজনের কম নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ক্যাম্পের পাশের জায়গায় রোহিঙ্গাদের অত্যাচারে চরম দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিলের পর থেকে টেকনাফ থেকে তিনজন স্থানীয় বাসিন্দাকে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকার জন্য হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের হাতে নিহতরা হলেন- শাহেদ, আকতার ও শাহ মোহাম্মদ। তারা সবাই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা।
রোহিঙ্গা সশস্ত্র ডাকাত দলে অস্ত্রের মুখে স্থানীয়দের অপহরণ করে মুক্তিরপণের টাকার জন্য চাপ দেয়। পরে মুক্তিপণ পেলেও অপহৃতদের হত্যা করে গভীর জঙ্গলে মাটি চাপা দেয় তারা।
কক্সবাজার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি তোফায়েল আহামদ বলেন, ১ মাসে তিনজন স্থানীয়কে অপহরণ করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা। এছাড়া গত বছর যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এছাড়া অনেক বিষয় প্রকাশ ও হয়নি আমার মতে গত ১ বছরে কমপক্ষে এক ডজন মানুষকে হত্যা করেছে তারা।
তিনি জানান, এটা খুবই অশুভ লক্ষণ। সময় থাকতে তাদের কঠোরভাবে দমন করা না গেলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা ডাকাতরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হয়ে আমাদের জাতীয় স্বার্থে ক্ষতি করবে।
এদিকে ক্যাম্পের আশপাশে রোহিঙ্গাদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ জীবনযাপন করছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিক মিয়া বলেন,সরকার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের যদি হালকাভাবে নেয় তাহলে এই পরিণাম খুবই ভয়াবহ হতে পারে। তাই সময় থাকতে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে।