এক মাসে ইন্টারনেট গ্রাহক কমল ছয় লাখের বেশি

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

এক মাসে ইন্টারনেট গ্রাহক কমল ছয় লাখের বেশি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত দুই বছরে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে দুই বছর পর এসে আবারো কমল ইন্টারনেটের গ্রাহকসংখ্যা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ হিসেবে দেখা গেছে, অক্টোবর মাস শেষে দেশে মোট ইন্টারনেটের গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৯ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার। তবে এর পরের মাসেই গ্রাহক কমেছে প্রায় ৬ লাখ ৪৮ হাজার। নভেম্বর মাস শেষে এখন গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজারে।

বিটিআরসির হিসেবে দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে শুধু মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যাই কমেছে ৬ লাখ ৩০ হাজার। এ ছাড়া ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক কমেছে প্রায় ১৯ হাজার। তবে আগের চেয়ে সামান্য বেড়েছে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড গ্রাহকসংখ্যা। বর্তমানে আইএসপি এবং পিএসটিএনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার গ্রাহক।

এদিকে ইন্টারনেট গ্রাহক কমলেও বেড়েছে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা। বিটিআরসি বলছে, নভেম্বর মাস শেষে মোবাইল গ্রাহকসংখ্যা এখন ১৫ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার যা অক্টোবরের শেষে ছিল ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার। অর্থাৎ এক মাসে মোবাইল গ্রাহক বেড়েছে ৫ লাখ ৭৯ হাজার।

বিটিআরসি’র হিসেব বলছে, এ মাসে গ্রামীণফোন এবং টেলিটকের গ্রাহক বাড়লেও কমেছে রবি এবং বাংলালিংক গ্রাহক। ৭ কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার গ্রাহক নিয়ে বরাবরের মতোই শীর্ষ অবস্থানটি ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। নভেম্বরে অপারেটরটির গ্রাহক বেড়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার। এ ছাড়া টেলিটকের গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার। অন্যদিকে রবি এবং বাংলালিংকের গ্রাহক কমেছে যথাক্রমে ৮৭ হাজার এবং এক লাখ ৫ হাজার।

মূলত নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা বা এমএনপি চালুর প্রভাবে গ্রাহকসংখ্যায় এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এমএনপি চালুর পর থেকেই বিপুল পরিমাণ গ্রাহক মূল অপারেটর বদল করে অন্য অপারেটরে স্থানান্তরিত হয়েছেন। টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যায় বড় উল্লম্ফনের পেছনেও এটিই মূল কারণ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads