আবুল কাশেম, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার উলিয়া ঘাট থেকে এক শ্রেনীর অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন যেন দেখার কেউ নেউ। প্রতিদিন ৫০-৬০টি বালুবাহী টাক্ট্রর দিয়ে বালু উত্তোলন করে উসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বলে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া বাজার এলাকার শাহাদত হোসেন দুলাল ও রুহুল আমিন নামে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি উলিয়া রাজনগর নামক স্থানে যমুনা নদী জেগে উঠা চর থেকে দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও উপজেলা প্রশাসন রহস্য জনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
গত ১৫ মে (সোমবার) দুপুরে উলিয়া ঘাটের গ্রামীণ ব্যাংকের পশ্চিম পাশে রাজনগর নামক স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দক্ষিণ পাশ থেকে শাহাদত হোসেন দুলালের ১০জন, দিন মজুর শ্রমিক অবৈধ ভাবে ভেকু মেশিন (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে বালু খনন করে টাক্ট্রর গাড়ি বোঝাই করে বিক্রির উদ্যেশে নিয়ে যাচ্ছে। পাশের্বও স্থান থেকে রুহুল আমিনের শ্রমিক ভেকুপ মেশিন (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে বালুবাহী গাড়ি বোঝায় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসির দাবী,প্রতিদিন কম পক্ষে ২শ গাড়ী বালি অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে টাক্ট্রার দিয়ে ইসলামপুর এবং মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন তারা। বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বালু খেকোরা রাতারাত্রি কোটি টাকা মালিক বনে যাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে সরকারের পানি উন্নয় রোর্ডের কয়েক শ কোটি টাকার ভাঙ্গনরোধ প্রকল্প দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে।
এ বিষয়ে এলাকার
বাসিন্দা,মিনহাজ,রেজাউল,সুমন,আনোয়ার জানান, বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এলাকার খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গেলে শাররীক ও মানসিক ভাবে হেনেস্থা করে থাকেন তারা। তাই তাদের ভয়ে কেউ টু শদ্ধ করার সাহস পায় না। সাকিল নামে এক কৃষক জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নষ্ট হলেও দেখছে না কোন স্থানীয় প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, কয়েকবার উপজেলা প্রশাসন বরাবর একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
কিন্তু লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রকার কাজ হয়নি বরং বালু খেকোরা আমাদেরই ক্ষতি করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে,তাই কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না বলে জানান ।
এদিকে বালু খেকো, শাহাদত হোসেন দুলাল সাংবাদিক দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে,রাগান্বিত হয়ে বলেন, সাংবাদিক কি করতে পারবে? লিখে কিছু করতে পারলে করেন গা। আমরা স্থানীয় প্রশাসনসহ উপরে মহলে ম্যানেজ করেই বালু তুলছি। বালি খেকো রুহুল আমিন বলেন, ভাই নিউজ করে কি হবে? সবাকে দিয়েই বালুর উত্তোলন করে আসছি। আপনি আসছেন আমি যা পারি তাই দিই। আপনি নিউজ করিয়েন না।
এদিকে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বলছে ভিন্ন কথা। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. তানভীর হাসান রুমান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আশরাফ আলী বলেন,বালু উত্তোলনকারিরা মনগড়া মন্তব্য করছেন। তিনি আরো বলেন, অতি শীঘ্রই অবৈধ বালু উত্তোলনকারিদের বিরোদ্ধে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছেন।