ইসরাইলে নেতানিয়াহুর প্রতিদ্বন্দ্বীকে চায় আরবরা

ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্য

ইসরাইলে নেতানিয়াহুর প্রতিদ্বন্দ্বীকে চায় আরবরা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ মার্চ, ২০২০

ইসরাইলের সরকার গঠন করতে ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান বেনি গ্যান্টজকে সমর্থন দিয়েছে আরব জোট। তিনি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিদ্বন্দ্বী। খবর রয়টার্সের।

ফলে আবারও ইহুদিবাদী দেশটির কট্টর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির নেতা নেতানিয়াহুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বাদ আর এ যাত্রায় পূরণ হচ্ছে না। এ মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আরব জোট দেশটির পার্লামেন্টের তৃতীয় স্থান দখল করে আছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রোববার গ্যান্টজকে সমর্থন জানিয়েছে আরব জোট। ফলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৬১টি আসন সুরক্ষিত করতে পেরেছেন গ্যান্টজ। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি পেয়েছে ৫৮টি আসন।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জরুরি সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন গ্যান্টজ।

এক বছরের মধ্যে তৃতীয় নির্বাচনে এগিয়ে থেকেও ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার গঠনের জন্য তিনটি আসন থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলা আদালতে পেছানোর পরেই এ খবর সামনে এলো।

রোববার দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রেসিডেন্ট রেউভেন রিভলিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং রিভলিন গ্যান্টজকে সরকার গঠনের জন্য অনুমতিও দিয়েছেন।

রিভলিনের সঙ্গে বৈঠককালে আরব জোটের প্রধান আয়মান ওদেহ বলেন, ভোটাররা ডানপন্থী নেতানিয়াহুকে না বলে দিয়েছে।

ইসরাইলের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশই ফিলিস্তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসরাইলের কোনো দল সরকার গঠনের সময় আরব কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। চলতি মাসের নির্বাচনে আরব জোট দেশটির পার্লামেন্টের তৃতীয় স্থান দখল করে।

বৈঠকের পরে গ্যান্টজ বলেন, আমি নেতানিয়াহুকে আন্তরিক হতে দেখিনি। এখনও তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কোনো দল পাঠাতে পারেননি।

আরব জোটের এই পরিকল্পনার নিন্দা করেছে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি। এক টুইট পোস্টে পার্টিটি থেকে জানানো হয়, যখন নেতানিয়াহু করোনাভাইরাসের জন্য সর্বাধিক দায়িত্বশীল আচরণ করছে, ঠিক তখনই গ্যান্টজ সন্ত্রাস সমর্থকদের ওপর নির্ভর করে সরকার গঠনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।

এদিকে ওই সিদ্ধান্তের পর রোববার রাতে জরুরি বৈঠকে বসেছেন নেতানিয়াহু ও রিভলিন সামন্ড গ্যান্টজ।

প্রসঙ্গত এক বছরের মধ্যে তিনটি নির্বাচনের সম্মুখীন হয়েছে ইসরাইল। সর্বশেষ ২ মার্চের নির্বাচনেও কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ১২০ আসনের নির্বাচনে যে কোনো দলকে সরকার গঠন করতে হলে ৬১টি আসন পেতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads