ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ৫০ বিঘা জমির ধান চিটা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ৫০ বিঘা জমির ধান চিটা

  • মো. শাহাদৎ হোসেন শাহ
  • প্রকাশিত ১৮ মে, ২০২১

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ৫০ বিঘা জমির বোরো ধান সম্পূর্ণ পুড়ে চিটায় পরিণত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, প্রতি বছর এ ধরনের ঘটনায় একমাত্র দায়ী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। তারা না বুঝে না দেখে, ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় ভাটা চালুর ছাড়পত্র প্রদান করে।

উপজেলার প্রায় সকল ভাটাই ফসলি ও জনবসতি এলাকায় নির্মিত। ফলে ভাটা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বনজ ও ফলদ গাছ পুড়ে নষ্ট হচ্ছে। মানুষের নানা ধরনের রোগবালাই লেগেই থাকে। প্রতি বছর এলাকাবাসী ও কৃষকদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপজেলার নশরতপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নশরতপুরে মোস্তাফিজুর রহমানের (ফিজার) এনএসডি ইটভাটা এলাকায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে। ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০ বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে সম্পূর্ণ পুড়ে চিটায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে কৃষক তাপস রায়, পোয়াতু রায়, কার্তিক রায়, প্রভাষ রায়, খগেন্দ্র রায়, বাবুচন্দ্র রায়, সন্তোষ চন্দ্র রায়, দীনেশ, ধীরেন্দ্র, ধলু, সনো রায় ও অমূল্যর সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, প্রতি বছর ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বোরো ধানসহ সকল প্রকার বনজ ও ফলদ গাছ মরে যাচ্ছে। ফলন এবং উৎপাদন কমে হচ্ছে এবং প্রাণী ও মানুষের রোগবালাই বেড়ে গেছে। ২০১৯ সালে প্রায় শতাধিক বিঘার ধান, গাছপালা, ফলমূল নষ্ট হয়। এ বছরও তা-ই হলো। এসব জমি থেকে এক ছটাক ধানও আমাদের গোলায় উঠবে না। এতে প্রায় ২০ হাজার মণ ধান উৎপাদন কম হবে। আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় দেড় কোটি টাকার।

এ বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোখলেছুর রহমান বলেন, উপজেলার ভাটাগুলো ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে প্রতি বছর কৃষকের কপাল পুড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ধানের পরাগায়ণ গ্রিডে ১৭ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন পড়ে। এর বেশি কিংবা কম হলে ধানের ক্ষতি হবে। ধানের এ ক্ষতির বিষয়ে আরো জানান, ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে ওই এলাকার তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির বেশি হওয়ায় এ ক্ষতি হয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads