মহাজোট থেকে পাওয়া ২৯টি আসনের বিষয়ে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দল সন্তুষ্ট নয়। আমাদের কর্মীরা সন্তুষ্ট নয়, আমরা সন্তুষ্ট নই, ব্যক্তিগতভাবে আমিও সন্তুষ্ট নই। তবে অনেক সময় অসন্তুষ্টির মধ্যে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হয়। গতকাল সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, বারবার আসন কমার বিষয়ে আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা জেনেছি মহাজোটের কাছ থেকে জাতীয় পার্টিকে ৫৪টি আসন দেওয়া হবে। সেখান থেকে কমতে কমতে ২৬-এ নেমে এসেছে। কারণ হচ্ছে, আমরাও দিচ্ছি, ওনারাও প্রার্থী দিচ্ছেন। আসন বণ্টন ইস্যুতে আলোচনা চলছে। তবে তা মাঝেমধ্যে ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। মাঝখান থেকে কে এই প্রবলেম সৃষ্টি করছে, আমি জানি না।
উন্মুক্ত প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে রাঙ্গা বলেন, আমরা উন্মুক্তও দিয়েছি অনেক। সব মিলিয়ে আমাদের ১৭৪টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, আপনারা মাঠে থেকে যদি নিজেদের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখেন তাহলে ভোট করবেন। আর যদি বিজয়ের সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিন। আমরা জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এ কথা বলে দিয়েছি।
আলাদা প্রার্থী দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জাপা মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রার্থীরা মনে করেন, নিজেদের এলাকায় বিজয়ী হবেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী হলে মাঠে যাওয়ার পর বুঝবে, আসলে তার নির্বাচন করা উচিত কি না। তবে মাঠে থাকলেও মহাজোটের সঙ্গে কাজ করবে। জাপার প্রার্থীরা মহাজোটের ভোট কাটবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভোট কাটলেও জাপার প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে।
পরে তিনি জানান, ঢাকা-১৭ আসনে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি, নূরুল ইসলাম নূরু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।