নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী : টাঙ্গাইলের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম হলেন ধনবাড়ীর নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। ১৮৬৩ সালে ২৯ ডিসেম্বর ধনবাড়ী জমিদার পরিবারে তার জন্ম। বাবার নাম জনাব আলী চৌধুরী ও মা সাইয়েদা রাবেয়া খাতুন। তিনি ১৯২৩ ও ১৯২৫ সালে দুই দুইবার কৃষি ও শিল্প বিভাগের মন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ওয়াজেদ আলী খান পন্নী (চাঁদ মিয়া) : ১৮৭১ সালের ১৪ নভেম্বর সদর উপজেলার অন্তর্গত করটিয়ার বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর বাবার নাম হাফেজ মাহমুদ আলী খান পন্নী। মায়ের নাম খোদেজা খানম। তিনি ছিলেন করটিয়ার জমিদারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রজাহিতৈষী। ১৯৩৬ সালের ২৫ এপ্রিল ৬৭ বছর বয়সে তিনি করটিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্যার আবদুল করিম গজনবী : দেলদুয়ারের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে ১৮৭২ সালের ২৫ আগস্ট আবদুল করিম গজনবীর জন্ম। জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে আবদুল করিম গজনবী রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৩৯ সালের ২৪ জুলাই কলকাতায় বালিগঞ্জে নিজ বাসভবনে স্যার আবদুল করিম গজনবী ইন্তেকাল করেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী : যেখানে অন্যায়-অবিচার, সেখানেই একটি প্রতিবাদী কণ্ঠ, একটি ভূকম্পিত হুঙ্কারের নাম মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর পূর্ববঙ্গের প্রবেশপথ খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলার সয়াধানগড়া গ্রামে এক বনেদি মুসলিম পরিবারে মওলানা ভাসানী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুরবণ করেন।
প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ : প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ’র জন্ম ১৮৯৪ সালে ভুঞাপুর উপজেলার বিরামদী (বর্তমানে শাবাজনগর) গ্রামে। বাবার নাম শাবাজ খাঁ, মা রতন খানম। ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন।
রণদা প্রসাদ সাহা : জন্ম ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর । বাবার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা পোদ্দার, মা কুমুদিনী দেবী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) রণদা প্রসাদ সাহার ছন্নছাড়া জীবনে দিনবদল ঘটিয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে কমিশনপ্রাপ্ত হন। পরে সেনাবাহিনী ত্যাগ এবং রেলওয়েতে নিম্নমানের চাকরিতে বহাল।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী : ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার নাগবাড়ীর এক জমিদার পরিবারে তার জন্ম। বাবা আবদুল হামিদ চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের সাংবিধানিক কমিশনের সদস্য (১৯৬০-৬১) এবং বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের (১৯৬৩-৬৮) চেয়ারম্যান ও স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ২ আগস্ট লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
জাদুসম্রাট পিসি সরকার : ১৯১৩ সালে টাঙ্গাইল শহরতলির আশেকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ভগবান সরকার, মায়ের নাম কুসুম কুমারী সরকার। পিসি সরকার ১৯৩৪ সালে বার্মা, জাপান, সিঙ্গাপুর ও চীনে জাদু প্রদর্শন করে সুখ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে জাপানে মৃত্যুবরণ করেন।