বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস আজ। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনের (আইটিইউ) ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। আইটিইউ কর্তৃক এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান সংরক্ষণ অর্থাৎ যেভাবে যে পণ্য বা সেবার মান নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সব স্থানে যেন একই মানে ব্যবহার করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে এবারের মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে কীনোট উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া হুয়াওয়ে ও নকিয়া নেটওয়ার্ক কর্তৃক ফাইভজি স্ট্যান্ডারডাইজেশনের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং ইন্টারনেট প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
সারা বিশ্বের জন্য আইটিইউ’র যে মানদণ্ডগুলো রয়েছে, সেগুলোই বিশ্বব্যাপী বাজার উন্মুক্তকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে উদ্ভাবন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করে যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে। সরকার আগামী ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যেই ৫জি চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলোতে ৫জি আরো ব্যাপক অবকাঠামোসহ ব্যাপ্তি পাচ্ছে। ফাইভজি মান এবং তা যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মিলিত হয়, তাহলে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলোর একটি নতুন আঙ্গিক পাবে। যার মাধ্যমে বর্তমান স্মার্টফোনের মতো আসবে স্বয়ংচালিত স্মার্ট গাড়ি, হতে পারে স্মার্ট শহর এবং গ্রাহক তা সাদরে গ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিশ্বায়নের এ যুগে তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার। তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্তার এ খাতের গুরুত্বকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ববাসীকে এক কাতারে শামিল করেছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একই পর্যায়ে থাকা, আন্তর্জাতিক বাজারে সহজে বিচরণ, উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানো এ ধরনের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের জন্য টেলিযোগাযোগের একটি অভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড থাকা দরকার।