সারা দেশ

আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: সারজিস আলম

  • ''
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শরীয়ংতপুর প্রতিনিধি:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন , যতদিন এই খুনি স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আওয়ামীলগি ও তাদের দোসরদের গনহগত্যার বিচার না হচ্ছে ততোদিন এ আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার রাখেনা। আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ওই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট বাদে সকল সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম তাই আমরা সফল হয়েছি। একটি জিনিস মনে রাখবেন বিগত ষোল বছরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস সরকারের আমলে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারতাম এক সাথে ছাত্র জনতা এক হতে পারতাম তাহলে ঐ সরকারকে আগেই পতন ঘটাতে পারতাম।

আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আদলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে অসংখ্য ফ্যাসিসদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছি। কিন্ত কখনো সফল হতে পারিনি। পারিনি একটি মাত্র কারণে বিগত ১৬ বছরে এ বাংলাদেশের ছাত্র জনতা কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। এ আন্দোলনে আমাদেরও অনেক ভাইবোন নিহত ও আহত হয়েছে। তাদের মামলায় নিরীহ লোকজনদেরকে আসামি করে আবার তাদের নাম কাটানোর একটি কুচক্রি মগল ব্যবসা শুরু করেছে। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কুচক্রি মহল এ নিয়ে একটা ব্যবসা শুরু কওে দিয়েছে। আমরা দাবী জানাই প্রশাসনের কাছে কোন তদন্ত ছাড়া কাউকেই গ্রেফতার করা যাবেনা। যারা দোষী তারাই গ্রেফতার হবে।

তিনি বলেন যারা দুর্নীতিবাজ হোক জেলা প্রশাসক হোক সচিব, যত বড় অফিসার হোক না কেন তারা ঐ শেখ হাসিনা,সালমান এফ রহমান, ডিবি হারুন,সহ গরু ছাগল হাস মুরগি ওবায়দুল কাদেরের মত পরিণতি দেখুন। একটি চক্র রয়েছে ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধকে ফাটল ধরাতে চায় । ফ্যাসিস্ট সরকার আবার মাথাচড়া দিয়ে আমাদেরও হামলা করতে পারে এ জন্য যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সারজিস শরীয়তপুরের উন্নয়ন নিয়ে বলেন পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে আমরা ভেবেছিলাম শরীয়তপুওে উন্নয়নে ভেসে গেছে। কিন্ত পদ্মাসেতু পার হওয়ার পর শরীয়তপুরের রাস্তা দেখে মনে হলো একবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দিয়ে যাচ্ছি।একবার হিমালয় দিয়ে যাচ্ছি । অথচ তারা বলেছিল উনন্য়নের জোয়ার বইছে । ২০২৪ সালে কোটা সং¯কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র সমাজের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যে আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল ।

এ আন্দোলনের বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ,মাদ্রাসা,স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। সেই আন্দোলনটিকে আবার ,কারফিউ দেয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিস সরকার আর একটি সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আজকে অমরা শরীয়তপুরে মতবিনিময় সভা থেকে এ আন্দোলনে নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। আজকে আমরা এমন কিছু পরিবার পেয়েছি যেখানে যে সন্তান মারা গিয়েছে তার বাবা নেই ,মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। সেই সন্তান মায়ের একমাত্র অবলম্বন জীবন দিয়েছে ২০২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যূথানে। অর্থাৎ ঐ মা আসলে আমরা যতই বলি আজ থেকে তিনি আমাদের মা কিন্ত ঐ যে একাকিত্ত সন্তানের যে অভাব সেটি আসলে কোনোদিন পূরণ করা সম্ভব না।

এখন একটি মহল একটি চক্র রয়েছে যারা আসলে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান সেটিকে ব্যর্থ করতে চায় । ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভ্যুত্থান করতে চায় । আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে যখন দলাদলি ভাগাভাগি শুরু করবো মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব শুরু করবো তখন ঐ ফ্যাসিস সরকার আবার অন্য কোন রূপে তার দেশের কিংবা দেশের বাইরের যে সকল মিত্র রয়েছে তাদের নিয়ে আবার আমাদের উপর হামলা করবো। তাই আমাদের কে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বুধার বিকেল সাড়ে ৪টায় শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে মুক্তমঞ্চে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হৃদয় হোসেন, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান মৃধা,ম্যামলী সুলতানা জেদনি ইসমাইল হোসেন রুদ্র, আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন, আবদুর রহামান,তাসনিমুল আলম,সাব্বির রহমান, নাঈমুল ইসলাম ইমন হাসান। তার আগমনে জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শরিক হওয়া ছআত্র সহবিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সভাস্থলে হাজির হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সারজিস আলম তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে শরীয়তপুর শহরে এসে চিকন্দি ফুড পার্কে বসে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের খোজ খবর নেন। এর পর কতিপয় রাজনৈতিক দলের পছন্দেও লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads