সমালোচনা সত্ত্বেও অ্যাকসেস অ্যান্ড অ্যাসিসটেন্স বিল-২০১৮ শীর্ষক একটি অ্যান্টি-এনক্রিপশন আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এই আইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের এনক্রিপ্টেড তথ্যভান্ডারে প্রবেশাধিকার পাবে দেশটির বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। কোনো প্রতিষ্ঠান এই আইন অনুসারে তথ্য প্রদান করতে না চাইলে বড় অঙ্কের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে বলেও এ আইনে উল্লেখ রয়েছে।
বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরই আইনটির সমালোচনা করে আসছিল। গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বেশি সচেষ্ট অবস্থানে থাকা অ্যাপল বলছে, এই আইনের মাধ্যমে দেশটির সরকার অতিরিক্ত ক্ষমতা লাভ করবে যা সাইবার নিরাপত্তা এবং এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেবে।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট জেডডি নেট এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে সরকার চাইলেই যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য চাইতে পারবে। এসব তথ্য এনক্রিপ্টেড অবস্থায় আদান প্রদান করা হলেও সেখানে সরকারকে প্রবেশাধিকার দিতে বাধ্য থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রয়োজনে এনক্রিপ্টেড তথ্যভান্ডারে প্রবেশের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখতে হতে পারে।
এ আইনটি পাস হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছিল দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টি। তবে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরুর আগে শেষ কর্মদিবসে কোনো ধরনের সংশোধনী ছাড়াই বিলটি পাস হয়েছে। এ বিষয়ে লেবার পার্টি প্রধান বিল শর্টেন জানিয়েছেন, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতেই এই আইনের পক্ষে ভোট দিয়েছে তার দল। তবে আগামী বছরের প্রথম দিকে তাদের প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো পাস করা হবে, এমন শর্তেই আইনটির পক্ষে লেবার পার্টি ভোট দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে এসব সংশোধনী আমলে নিয়ে আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে কি না সে বিষয়ে দেশটির সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।