মনজুরুল হক, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
খামারের সামনে তৈরি করা হয়েছে ছবি তোলার জন্য আলাদা একটি জায়গা। পেছনে তাদের খামারের নামসহ একটি সাইনবোর্ড। প্রয়োজন অনুযায়ী তোলা হচ্ছে ছবি ও ভিডিও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে গরুর সে ছবি ও ভিডিও। চলছে দর-কষাকষি। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দাম ঠিক হলেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে গরু। ট্রাকে করে গরু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতার ঠিকানায়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে গরু বিক্রি করছেন উপজেলার বৃহৎ খামার হ্যান্ডশেক এগ্রো। করোনাকালীন ক্রেতা না পেয়ে খামারিরা অনলাইনেই কয়েকদিন ধরে এভাবে গরু বিক্রি করছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এলাকার কোরবানির পশুর হাটে কেনাবেচা একেবারেই কম। এই পরিস্থিতিতে হ্যান্ডশেক এগ্রোর মতো বেশ কয়েকজন খামারমালিক ঘরে বসেই অনলাইনে গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে সাড়াও মিলেছে বেশ। হ্যান্ডশেক এগ্রোর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ভূইয়া রুবেল জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে খামার চালাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে কোরবানির জন্য শতাধিক গরু পালন করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১০০ গরু বিক্রির উপযোগী হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও অনলাইনে গরু বিক্রি শুরু করেন। মাত্র ১৫ দিনে তার ৩০টি গরু বিক্রি হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী দামও পাচ্ছেন। বাকি গরুগুলো বিক্রির জন্য দাম-দর চলছে। তিনি আরো জানান, রয়েছে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা। এতে ঈদের ২-৩ দিন আগে তারা গরু পৌঁছে দেবেন ক্রেতার ঠিকানায়। চাহিদা অনুযায়ী গরু জবাই করে গোশত দেওয়া হবে।
এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হ্যান্ডশেক এগ্রো থেকে অনলাইনে গরু কিনেছেন নিজামুল হক গনি। তার বাসা ঢাকার মুগদায়। তিনি বলেন, গরু কিনেছি কয়েকদিন আগে, কিন্তু ঈদের আগের দিন বাসায় নেব। গরুগুলো বেশ ন্যাচারাল।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডা. রাশেদুজ্জামান মিয়া জানান, উপজেলায় প্রায় ৮০০টি গরু খামার রয়েছে। এসব খামারে চলতি বছর প্রায় ৯ হাজার গরু পালন করা হচ্ছে। দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি এসব খামারে গরু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম চলে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে খামারগুলোতে সেভাবে ক্রেতার দেখা মিলছে না। এ কারণে স্থানীয় খামারিরা অনলাইনে গরু বিক্রির সিন্ধান্ত নেন। উপজেলার সবচেয়ে বড় খামার হ্যান্ডশেক
এগ্রো বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই গরু বিক্রি করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।





