বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৭ February ২০২১

অধ্যক্ষ সংকট কাটছে না ৪৬ নিয়োগেও


সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর মধ্যেই কয়েক বছর ধরে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে অধ্যক্ষ সংকট। এ থেকে উত্তরণে গত বছরের শেষ দিকে উদ্যোগ নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এরই ধারাবাহিকতায় জানুয়ারি মাসে নিয়োগও দেওয়া হয়েছে ৪৬ জন নতুন অধ্যক্ষ। তবু কাটছে না সংকট।

দেশে বর্তমানে সরকারি কলেজের সংখ্যা ৬৩২। এর মধ্যে ১৪৫টি কলেজ চলছে অধ্যক্ষ ছাড়াই। এমনকি ৩০টিরও বেশি কলেজে নেই উপাধ্যক্ষও। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে প্রায় তিন হাজার। শিক্ষক সংকটের কারণে মফস্বল অঞ্চলের বেশির ভাগ সরকারি কলেজই চলছে খুঁড়িয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি কলেজের কয়েকজন সহকারী অধ্যাপক বলেন, বিশেষ আনুগত্য ছাড়া এখন আর অধ্যাপক নিয়োগ হচ্ছে না। এতে করে শিক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিমাউত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এ বছরের মধ্যে খালি থাকা প্রতিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হবে। তবেও কিছু জটিলতার কারণে আংশিকভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

২০১৪ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যদের তালিকা করে সেখান থেকে সরকারি কলেজগুলোতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হতো। এখন নতুন নীতিমালা হয়েছে। নতুন নিয়মে প্রতিবছর জুলাই ও ডিসেম্বর মাসে কলেজের শীর্ষ দুই পদের জন্য আগ্রহী শিক্ষকদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এরপর জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সুখ্যাতি বিবেচনা করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ যতদ্রুত সম্ভব নিয়োগ করা হয়।

এ ব্যাপারে রাজধানীর ঢাকা কলেজে সদ্য পদায়ন হওয়া অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, কোনো কলেজে নিয়মিত অধ্যক্ষ না থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। কেবল শিক্ষার্থীরাই নন, কলেজ প্রশাসনও পড়েন বিপাকে। এখান থেকে উত্তরণ করা না গেলে ভালো পাঠদান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, একটি কলেজে অধ্যক্ষ না থাকলে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়ে সেসব আমাদের জানা রয়েছে। এজন্যই দ্রুত এ সংকট কাটাতে কাজ হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে ৪৬ জন নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছি। তাদেরকে ২ ফেব্রুয়ারি পদায়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাকি কলেজগুলোতেও অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার কাজ এগিয়ে চলেছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা পদায়ন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন সংকটের কথা সবাই বলছেন আমরাও তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। যে কলেজগুলো এখনো অধ্যক্ষশূন্য সেখানেও দ্রুত পদায়ন করা হবে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যত্নশীল।

উল্লেখ্য, কেবল অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষই নয় সরকারি কলেজগুলোতে রয়েছে শিক্ষক সংকটও। দেশের পুরনো সরকারি কলেজগুলোতে প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপকের ১৮৫টি, সহযোগী অধ্যাপকের ২৮৩টি, সহকারী অধ্যাপকের ৩৭৫টি এবং প্রভাষকের ২ হাজার ৩৫টি পদই শূন্য রয়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১