বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১০ October ২০১৯

২২ টাকায় নামছে  ওএমএসের চাল

বর্তমানে প্রতি কেজি ৩০ টাকা


খাদ্য অধিদপ্তরের গুদামে রয়েছে সাড়ে ১৪ লাখ টন চাল। সেখান থেকে দরিদ্র লোকজনের জন্য স্বল্পমূল্যে খাদ্য নিশ্চিত করতে ওএমএস বা ওপেন মার্কেট সেল কর্মসূচির আওতায় চাল বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। তবে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ওই চালে আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। আর বাড়তি মজুদ থাকায় চাল বিক্রি করতে না পেড়ে বিপাকে রয়েছে অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে এখন চালের দাম কমানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ওএমএসের চাল মিলবে প্রতি কেজি ২২ টাকায়।

খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, ওএমএসের চালের দাম কমিয়ে নির্ধারণের জন্য একটি প্রস্তাব খাদ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতি কেজি চালের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ২২ টাকা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। আর খাদ্য অধিদপ্তর ওইসব চাল ডিলারদের কাছে ২০ টাকা দরে সরবরাহ করবেন।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আসলে দাম নির্ধারণের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে দেখে। আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই সেটা কার্যকর হবে।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের কাছে এখন সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ চালের মজুত রয়েছে। আসন্ন নতুন মৌসুমে চাল রাখার জন্য গুদামে জায়গাও নেই। সে কারণে চাল বিক্রি বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, খাদ্যমন্ত্রী ওএমএসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য দর কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এতদিন ধানের দাম কম থাকার কারণে ওএমএসের চালের দাম কমানো যায়নি। তাতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ত।

এদিকে জানা গেছে, খুচরা বাজারের থেকে ওএমএসের চালের দামের পার্থক্য খুব কম হওয়ায় তাতে সাড়া পাচ্ছে না খাদ্য অধিদপ্তর। কার্যক্রম চালু থাকার পরও ডিলাররা বিক্রির উদ্দেশ্যে চাল নিচ্ছে না। ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে অনেকে। শুধু রাজধানীতে নয়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হলেও এখনো কোনো ডিলার চাল উত্তোলন করেনি। ডিলারদের ভাষ্য, ওই মোটা চাল ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলে ক্রেতা পাওয়া যাবে না। বরাদ্দ চাল সংগ্রহ করলে লোকসানে পড়তে হবে তাদের।

সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকার বাজারে এখন প্রতি কেজি মোটা চালের পাইকারি মূল্য ২৬ থেকে ২৮ টাকার মধ্যে। আর ভোক্তা পর্যায়ে এসব চাল ৩০ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও বাজারে ঘুরে ওই দামে মোটা চাল পাওয়া যাচ্ছে না। খুব বেশি ব্যবধান না হলেও ২/৩ টাকা বাড়তি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে চলমান ওএমএস চলছে ঢিলেঢালা অবস্থায়। প্রতি ডিলারকে এক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও তারা এক-তৃতীয়াংশ বিক্রি করতে পারছে না। এরই মধ্যে ওএমএসে ১৭ টাকা কেজি দরে আটা কিছুটা বিক্রি হচ্ছে।

সাধারণত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এই পাঁচ মাস খোলাবাজারে চাল বিক্রি করে থাকে। এ কর্মসূচির জন্য বছরে সাড়ে ৭ লাখ টন চাল দরকার হয়। তবে এ বছর ওই পরিমাণ চাল বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। যেখানে সরকারের গুদামে বাড়তি চালের চাপ রয়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১