বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৭ April ২০১৯

শবে বরাত নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই : হাইকোর্ট


শবে বরাত নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেছে মর্মে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা এক আবেদনের জন্য অনুমতি চাইতে গেলে আজ বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, হলফনামা করার জন্য আমরা অনুমতি দিতে পারছি না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আবেদনকারীদের কথা হচ্ছে ৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুসারে ২০ তারিখ শবে বরাত। সেটির কিছু তথ্য নিয়ে ১০ জন আবেদন করতে চাচ্ছেন। পারমিশনের জন্য আদালতে এসেছিলাম। আদালত রিফিউজ করে বললেন আমরা পারমিশন দিবো না।

গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভা করে জানিয়েছিলো, ওই দিন দেশের আকাশে কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ এপ্রিল দিনগত রাতে পবিত্র লায়লাতুল বরাত পালিত হবে।

তবে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামে একটি সংগঠনের দাবি, সেদিন খাগড়াছড়িতে চাঁদ দেখা গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লায়লাতুল বরাত পালিত হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই জরুরি বৈঠক ডাকে সরকার।

১৩ এপ্রিল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে ১১ সদস্যের সাব-কমিটি গঠন করে করা হয়। এ কমিটি শবেবরাতের আগে আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে একমত হয়।

এ অবস্থায় ১৫ এপ্রিল ওই ১০ জন হাইকোর্টে আবেদন (৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেছে মর্মে) করার পারমিশন চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বলেছিলেন, এটা ধর্মীয় সেনসেটিভ ইস্যু। এটা আদালতের বিষয়বস্তু না করাই ভালো। আপনাদের (আবেদনকারীদের) বক্তব্য আপাতত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে লিখিত আকারে জমা দেন। তারা যদি কনসিরাডেশনে না নেন, ১৭ তারিখে দেখা যাবে।

এর মধ্যে সাব কমিটি ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার এ বিষয়ে সভার করার পর শবে বরাত পালনে ২১ এপ্রিলের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন সরকার।

আদালতের আদেশ অনুসারে আজ এ বিষয়ে আদালতের আদেশ চাওয়া হলে হাইকোর্ট বলেন, এখন একবারেই লাস্ট স্টেজ। এ অবস্থায় নতুন করে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের আদেশ মতো আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে এমনকি মন্ত্রী মহোদয়কেও টেলিফোন করেছি। বলেছি ওনাদের দরখাস্ত গ্রহণ করতে। মঙ্গলবার কমিটির মিটিং হয়েছে। ওনাদের দরখাস্ত নেওয়া হয়েছে। সেটার ওপর আলোচনাও হয়েছে।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১