বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৯ March ২০১৯

অগ্নিঝরা মার্চ

গণ-আন্দোলনে ছাত্রসমাজের চাপ

অগ্নিঝরা মার্চ সংরক্ষিথ ছবি


একাত্তরের ৯ মার্চ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পল্টন ময়দানে ভাষণ দেন। ‘ইয়াহিয়াকে তাই বলি, অনেক হইয়াছে আর নয়। তিক্ততা বাড়াইয়া আর লাভ নেই। ‘লাকুম দিনুকুম আলিয়াদ্বীন’ (তোমার ধর্ম তোমার আমার ধর্ম আমার)-এর নিয়মে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করে নাও। শেখ মুজিবের নিদের্শমতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কোনো কিছু করা না হলে আমি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মিলিত হইয়া ১৯৫২ সালের ন্যায় তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলব।’ ভাসানী এদিন ১৪ দফা ঘোষণা করেন। বিভিন্ন আন্দোলন চলতে থাকে, প্রানহানিও থেমে থাকেনি।

এর আগে ৭ মার্চ ঢাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় বাংলার অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চূড়ান্ত ফয়সালার ইঙ্গিত দিলেন, আবার দিলেনও না। তখন বাংলাদেশের প্রশাসন চলছে আওয়ামী লীগের নির্দেশে।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় উড়ে এলেন। ১৬ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া একান্ত বৈঠক হলো এক ঘণ্টা। ১৭, ১৯ ও ২০ মার্চও দুজনের মধ্যে কথা হয়। তাদের দুজনের সঙ্গেই ছিল নিজ নিজ পরামর্শক টিম। তারা জানাল, কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট একটা ফরমান জারি করবেন।

একটা চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ছাত্রসমাজের একটি অংশের চাপ ছিল। ছাত্রদের দাবি ছিল, গণ-আন্দোলন নিয়ে কোনো আপস চলবে না। কেন্দ্রে ক্ষমতা নেওয়াটা আপস হিসেবে দেখার একটা সুযোগ ছিল।

২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় আওয়ামী লীগের আলোচক দল ইয়াহিয়ার পরামর্শক দলের সঙ্গে আবার বৈঠক করে। ওই বৈঠকে দেশের নাম ‘কনফেডারেশন অব পাকিস্তান’ হতে হবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১