আপডেট : ৩০ October ২০১৮
ঋতুবৈচিত্র্যের বাংলাদেশে শীত যেন আসে খেজুরের রস আর শীতের পিঠার বার্তা নিয়ে। এই শীত উপভোগ করতে যশোরের খেজুরের রস ও গুড়ের বিকল্প নেই। খেজুরের রসভান্ডার যশোরে রয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫২৫টি খেজুর গাছ। যার প্রতিটিতে গাছি শীতের শুরুতেই বাড় ঝুলিয়ে দেয়। শীতকালীন এ চিত্র যেন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করে। ৪৮৬ দশমিক ২০ হেক্টর জমির খেজুর গাছে আনুমানিক ২ কোটি ৩১ লাখ ২৬ হাজার ২৫০ কেজি রস আহরিত হয় যা থেকে উৎপাদিত গুড়ের পরিমাণ ৩৭ লাখ ২০০ কেজি। যশোরের রসের স্বাদ যেমন সুমিষ্ট, তেমনি এর তৈরি গুড় স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। তাই যশোর যেন খেজুরের রসভান্ডার হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত। ১৮৬১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ হাউজ যশোরের চৌগাছার তাহেরপুরে খেজুরের গুড় থেকে ব্রাউন সুগার তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতিগতভাবে এই অঞ্চলের পানি মিঠা। এ কারণেই এই অঞ্চলের খেজুরের রস তুলনামূলক বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। ২০০০ সালের পর থেকে যশোরের এক ক্ষুদ্র শিল্পপতি খেজুর রস প্রক্রিয়াজাত করে ইউরোপে বাজারজাত করছেন। ফলে এক সময় যে ইউরোপীয়রা যশোরের খেজুরের গুড় বা চিনির স্বাদ নিতেন, আজ তারা আসল রস পাচ্ছেন; কিন্তু তা অত্যন্ত সীমিত পরিমাণে। এরপর অনেক শিল্পপতি এগিয়ে এসেছেন। বাণিজ্যিকভাবে খেজুরের গুড় উৎপাদন করে তা বিদেশে রফতানি শুরু হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১