আপডেট : ২৭ July ২০১৮
গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। আর এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কেউ দিচ্ছেন বৃষ্টির অজুহাত, আবার কেউ বলছেন মজুতদারদের কথা। আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দামও প্রায় পাঁচ টাকা বেড়ে, বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এদিকে, শুধু ডিম বা মুরগিই নয়, বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। প্রতি কেজিতে সাত টাকা দাম বেড়ে, বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। বাজারে আসা এক নারী ক্রেতা বললেন, ‘ডিমের দাম সবখানেই বাড়তি। বাসার সামনে মুদি দোকান যেগুলা, সেগুলাতে প্রতিটি ডিম এখন ১০ টাকা। আর এখন আমি এখানে বাজার থেকে নিচ্ছি। ওইটা নয় টাকা করে পড়তেছে আরকি।’ আরেক ক্রেতা বলেন, ‘ছয় টাকা থেকে শুরু। এই দুই-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আজকে ১০ টাকা। তো ডে বাই ডে এটা বাড়তেছেই। ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।’ এদিকে, বৃষ্টির পাশাপাশি এ সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায়, বাজারে ডিমের সরবরাহ কমেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। বাজারের এক বিক্রেতা বললেন, ‘আগের তুলনায় ডিম আসতেছে কম। এক সপ্তাহ, ১৫ দিন বা এক মাস আগে যে প্রোডাকশান (উৎপাদন) ছিল, যেই আমদানি ছিল, এখন ওই আমদানি নাই।’ আরেক বিক্রেতা বললেন, ‘বৃষ্টির কারণে গাড়িঘোড়া কম ঢুকে, পাইকারি বাজারে। দামডা এই কারণে একটু বেশি।’ আবার কোনো কোনো বিক্রেতা দাম বাড়ার পেছনে মজুতদারদের দোষারোপ করছেন। এক বিক্রেতা বললেন, ‘দাম তো আরতে বাড়ছে। আরতে তো, যারা স্টক করে, রাহি করে, মজুতদার, তারাই মূলত এই কাজটা করে।’ তবে, বিক্রেতাদের এ সমস্ত অজুহাত মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ বা ক্রেতারা। এক নারী ক্রেতা বললেন, ‘একেক সময় একেক রকম বলে, যে আমদানি নাই। এক সময় বলবে যে, বৃষ্টির জন্য।’ সব মিলিয়ে, কম আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের অন্যতম মাধ্যম ডিমের দাম বৃদ্ধিতে হতাশ সাধারণ মানুষ। তবে, এলাচ ছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের মশলার দামই স্থিতিশীল দেখা গেছে। ভালো সরবরাহ থাকায় এ বছর কোরবানির ঈদের আগেও মশলার দাম খুব একটা বাড়বে না বলে বিক্রেতারা জানান।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১