সেন্টমার্টিনের কাছে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। প্রধান আসামি হলো: সৈয়দ আলম, সে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা।
বুধবার সকালে টেকনাফ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা এসএম ইসলাম। এই মামলায় মঙ্গলবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আটক ৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সেন্টমার্টিনের কাছে ডুবন্ত কোরালে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারডুবির ঘটনার মঙ্গলবার জীবিত উদ্ধার ৭২ জনকে টেকনাফ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে সাগর থেকে উদ্ধার আরও একজনকে সেন্টমার্টিনেই রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭৩ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। তাদের পরবর্তীতে কোথায় রাখা হবে সে নির্দেশনা দেবেন আদালত। পুলিশ আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।
পুলিশ আরও জানায়, মানবপাচারের জন্য মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটির পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক ৮ জনের মধ্যে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নাগরিক উভয়েই রয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়- ১৩৮ জনকে বহনকারী ছোট ট্রলারটি ডুবন্ত কোরালের সঙ্গে বাড়ি খেয়ে তলা ফেটে ডুবে যায়। নিহতদের অনেকের লাশই পানির নিচ থেকে টেনে বের করতে হয়েছে। এসময় চার মাঝিকে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃতদেহ এবং জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া সাগর উপকূল হয়ে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় সেন্টমার্টিনের থেকে ৩-৪ নটিক্যাল মাইল পূর্ব-দক্ষিণে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানিতে ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে মাছ ধরার জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
                                
                                
                                        
                                        
                                        
                                        




