‘সোহেলের পরিবারে উপযুক্ত কেউ থাকলে চাকরি পাবে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

ছবি: সংরক্ষিত

জাতীয়

‘সোহেলের পরিবারে উপযুক্ত কেউ থাকলে চাকরি পাবে’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৯ এপ্রিল, ২০১৯

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন মারা যাওয়া ফায়ার সার্ভিসকর্মী সোহেল রানার পরিবারে উপযুক্ত কেউ থাকলে তাকে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরে সোহেল রানার প্রথম জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ারম্যান সোহেল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসসহ আমরা সবাই তার পরিবারের প্রতি লক্ষ রাখব। তার পরিবারে যদি উপযুক্ত কেউ থাকে তাকে একটি চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

সোহেল রানার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্ষতিপূরণ নয়, আমরা তার পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস তাকে সহযোগিতা করেছে, প্রধানমন্ত্রীও সহযোগিতা করবেন। ভবিষ্যতে আপনারা তা দেখতে পারবেন।

সোহেলের সাহসী উদ্ধার অভিযান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সোহেল রানা মানুষকে ভালোবাসতেন, দেশকে ভালোবাসতেন- এর প্রমাণ তিনি রেখে গেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এফআর টাওয়ারে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তার মৃত্যুতে গোটা জাতি শোকাহত। তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

সোহেল রানার চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রথমে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে, এর পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। আগুনের ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে গিয়ে আহত ফায়ার সার্ভিসকর্মী সোহেল রানা সিঙ্গাপুরে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে সোহেল মারা যান। সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে করে তার মৃতদেহ দেশে আনা হয়।

সোহেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের কেরুয়ালা গ্রামে। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম ও মা হালিমা খাতুন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সোহেল সবার বড় ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়ে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads