সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এম সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘জয়নগরের জমিদার’। চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারজানা ছবি।
প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্রে কাজ করলেন এ তারকা। নতুন ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে ছবি বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিও এটি। সব মিলিয়ে আমার জন্য এই বছরের শুরুটা ভীষণ আনন্দের ও প্রাপ্তির। ‘জয়নগরের জমিদার’ আমার অভিনয় জীবনে নতুন সংযোজনা। এমন একটি ইতিহাসনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ভালোবাসা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা দরকার। এই চলচ্চিত্রের পুরো আয়োজন ছিল অনেকদিনের। গল্প ও সময়কাল বিবেচনা করে লোকেশানগুলো নির্ধারিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জমিদার বাড়িতে আমরা ছবির দৃশ্যায়নে কাজ করেছি। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীই নিজের পুরোটা দিয়ে কাজ করেছেন। এর জন্য আমাদের প্রযোজক আবু সাঈদ খান এবং পরিচালক এম সাখাওয়াত হোসেন তারা দুজন প্রশংসার দাবি রাখেন।’
বর্তমানে চলচ্চিত্র কিছুটা অস্থিতিশীল সময় পার করছে বলে মনে করেন ছবি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলে, ‘দেশীয় চলচ্চিত্রের অর্থ লগ্নিকারীরা ডিসেন্ট্রালাইজড হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে হলের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। একসময় প্রায় ১ হাজার ৩০০-এর মতো হল ছিল। এখন তা ২৫০-তে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেক স্বনামধন্য প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে। ছবি প্রদর্শনের জন্য যদি হলই না থাকে তবে তো ছবির নির্মাণ সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমবে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মালা ভাবী’তেও নিজের ঝলক দেখিয়েছেন ছবি। এটি এবারের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রাজস্থান ফিল্ম ফেস্টিভালে নির্বাচিত হয়েছে। পাপ-পুণ্য ও কর্মফলের সঙ্গে প্রকৃতির অতিপ্রাকৃত সংযোগ এমন একটি ভাবনায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত।
বর্তমানে ছোটপর্দায় নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছবি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশেষ নাটক ‘সত্য গল্পের অসত্য উপাখ্যান’-এ কাজ করছেন এ অভিনেত্রী। নাটকটি রচনা করেছেন পান্থ শাহরিয়ার এবং পরিচালনা করেছেন মাসুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া কায়সার আহমেদের পরিচালনায় দীপ্ত টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক ‘বকুলপুর’, সৌম্য নজরুলের পরিচালনায় দুরন্ত টেলিভিশনের ধারাবাহিক ‘মেছো তোতা গেছো ভূত’, ধারাবাহিক নাটক ‘আরশীনগর’, অরণ্য আনোয়ারের রচনা ও পরিচালনায় ‘চান্দের বুড়ী নোয়াখালী’সহ আরো কিছু খণ্ড নাটকে কাজ করছেন ছবি।
তবে এখন থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে চান ছবি। তিনি বলেন, ‘দর্শক নাটকে আমাকে যেমন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দেখেছেন ফিল্মেও আমার সেই চেষ্টাটাই অব্যাহত থাকবে। এখন থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা আছে। সত্যি বলতে কি, আমি অভিনয়ের মানুষ, অভিনয় আমার প্রাণের স্পন্দন। আমি কখনো অভিনয়ের মাধ্যমগুলোকে আলাদা করে ভাবিনি। আমার কাছে কাজটাই মূল কথা। তাই সব মাধ্যমেই নিরলসভাবে কাজ করতে চাই। অভিনয়ের মধ্যেই বেঁচে থাকতে চাই।’
                                
                                
                                        
                                        
                                        
                                        




