আগামী ৯ মে শুরু হবে চতুর্থ বাংলাদেশ ওপেন গলফ টুর্নামেন্ট। ২০১৫ সাল থেকে বেশ সফলতার সঙ্গে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে গলফ ফেডারেশন। এর আগের তিনবার পৃষ্ঠপোষক ছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। কিন্তু এবার পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবি ব্যাংক। এবার আসরে অংশ নেবেন ২৫ দেশের গলফ খেলোয়াড়।
আগের তিনটি বাংলাদেশ ওপেনের দেশি গলফারদের সর্বোচ্চ সাফল্য সিদ্দিকুর রহমানের। সবশেষ আয়োজন ২০১৭ সালে রানার আপ হয়েছিলেন দেশি গলফারদের এই আইকন। চেনা কোর্সে এবার আগের সেই সাফল্য ছাড়িয়ে শিরোপা জিততে চান সিদ্দিকুর। আর গত সপ্তাহে বিটিআই ওপেনে রানার আপ হওয়া জামাল হোসেন মোল্লারও স্বপ্ন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।
কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে আগামী ৯ মে শুরু হওয়া বাংলাদেশের ওপেনের প্রাইজানি ৩ লাখ ডলার। এশিয়ার ট্যুরের এই গলফ টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে এবার অংশ নেবেন ২৫ দেশের গলফার। এর আগে এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপা জেতেন সিদ্দিকুর রহমান। এর সবশেষটি ছিল ২০১৩ সালে। আর সবশেষ অংশ নেন জাপানে প্যানাসনিক ওপেনে। সেই খেলায় দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে যান তিনি। শনিবার কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে বাংলাদেশ ওপেনের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘরের মাঠে চেনা কোর্সের এই টুর্নামেন্ট ঘিরে একটু বেশি সতর্ক বাংলাদেশের দুই গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও জামাল হোসেন মোল্লা। দেশের গলফ আইকন সিদ্দিকুর জানান, ‘প্রথম আসরে আমরা বেশি খারাপ করেছিলাম। বেশিরভাগই ছিলাম সেরা ২০-এর বাইরে। তবে দ্বিতীয় আসরে দুজন শীর্ষ দশে থেকে শেষ করেছিলাম। আর গতবার তো আমি রানারআপ হই। এ থেকে বুঝা যায় আমাদের উন্নতিটা স্পষ্ট। এবার শিরোপার আশা করতে তাই দোষ কী।’
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ট্যুরের প্রতিযোগিতা বিটিআই ওপেনে পারের চেয়ে ১৪ শট কম খেলে রানারআপ হওয়া জামাল হোসেনও বাংলাদেশ ওপেনে আলো ছড়াতে আত্মবিশ্বাসী, ‘এশিয়ান ট্যুরে শিরোপা জেতা আমার স্বপ্ন। স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টার কোনো ঘাটতি থাকবে না। পিজিটিআইয়ে শেষ দুটি টুর্নামেন্ট আর বিটিআই ওপেনে ভালো করে এই মুহূর্তে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আশা করি এবার ভালো কিছুই হবে।’
                                
                                
                                        
                                        
                                        
                                        




