দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে ডান হাত হারানো স্নাতকের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার তিনি কথা বলেন ও খাবার খান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক শামসুজ্জামান জানান, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা রাজীব আগের দুই দিন কিছুই খাননি। এমনকি কোনো কথাও বলেননি। তখন তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। তবে সোমবার তিনি অল্প হলেও খাবার খান। চিকিৎসকরা তাকে মানসিকভাবে শক্ত করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর তিতুমীর কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীব (২২) বিআরটিসির একটি বাসে চড়ে মঙ্গলবার কলেজে যাচ্ছিলেন। বাসটি বাংলামোটর পার হয়ে পান্থপথের সার্ক ফোয়ারার কাছাকাছি গেলে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে এসে চাপ দেয়। এ সময় দুই বাসের মাঝে পড়ে বিআরটিসির দরজায় দাঁড়ানো রাজীবের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে শমরিতা হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর রাজীবের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে বলে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সুস্থ হলে তাকে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী। এ ছাড়া রাজীব হোসেনের চিকিৎসা ব্যয় ওই দুই বাসের মালিকপক্ষকে বহন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢামেকের সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছে রাজীবের।
 
                                 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





