চলতি বছরের ‘শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পদক’ পেলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী এবং দুই স্থপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও জামী আল সাফী। সুরস্রষ্টা ও গেরিলাযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদের অন্তর্ধান দিবস ৩০ আগস্ট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এই তিন গুণীর হাতে পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেয় শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন।
ভাষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে বিশেষ অবদান রেখেছেন কামাল লোহানী। স্থপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও জামী আল সাফীর নকশায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ তৈরি হয়েছে। আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা আরা মাহমুদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শিমুল ইউসুফ ও হাসান আরিফ প্রমুখ।
১৫ বছর ধরে প্রদান করা হচ্ছে শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পদক। এর আগে আলতাফ মাহমুদ পদক পেয়েছেন চিত্রগ্রাহক বেবি ইসলাম, ড. এনামুল হক, সাবিনা ইয়াসমিন, অজিত রায়, খোন্দকার নুরুল আলম, সুধীন দাস, বিপুল ভট্টাচার্য, আলম খান, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, নায়করাজ রাজ্জাক, মুস্তাফা মনোয়ার, মো. শাহনেওয়াজ, কাইয়ুম চৌধুরী, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, আলাউদ্দিন আলী, হাসান আজিজুল হক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আলী যাকের, মফিদুল হক, সৈয়দ হাসান ইমাম ও ফেরদৌসী মজুমদার।
প্রসঙ্গত, আলতাফ মাহমুদ একজন ভাষাসৈনিক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সুরস্রষ্টা। শুধু সুর আর গানে নয়, এ শিল্পীর কীর্তি আছে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনেও। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ও গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে তার অবদানও অনস্বীকার্য। ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশি সত্তা আন্দোলিত করা প্রথম গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’-এর সুরকার তিনি। পরবর্তী সময়ে এ গানটি প্রেরণা হয়ে ধরা দেয় ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৬৬৯ ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে।