মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করার পর সৈয়দপুরের চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০ শতক জমির ওপর টিন দিয়ে ঘিরে শখের বশে ৫০টি ভেড়া পালন শুরু করেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির। শখের বশে ভেড়া পালন শুরু করলেও এগুলো ৫-৬ মাস পরপর বাচ্চা দেওয়ায় তার খামার ভরে যায়। পরে তিনি বড় ভেড়াগুলো ৮-১০ হাজার টাকা করে বিক্রি করে দেন। ভেড়া পালন করে এভাবেই শখ থেকে সফলতার মুখ দেখেন জহিরুল। তিনি জানান, এক একটি ভেড়া ৫-৬ মাস পরপর ৩-৪টি করে বাচ্চা দেয়। সব খরচ বাদ দিয়ে এক বছরে তিনি প্রায় ২ লাখ টাকারও বেশি আয় করেছেন। আগামীতে বছরে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জহিরুল জানান, এক একটি ভেড়ার পেছনে প্রতিদিন খরচ ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। সে অনুযায়ী ভেড়াপ্রতি মাসে খরচ হয় ২৪০ টাকা। এভাবে ৫০টি ভেড়ার পেছনে মাসে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। ৫ মাসে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এগুলো বাচ্চা দিয়েছে ১৫০টি, যার বাজার মূল্য ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আর বড় ভেড়াগুলোর এক একটির দাম উঠেছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা খরচ করে তিনি পাচ্ছেন প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। জহিরুল জানান, তার খামারের ভেড়াগুলো দেখতে সুন্দর ও ভালো জাতের হওয়ায় তা অনেকেই কিনতে আসছেন এবং ভেড়া পালনের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সরকারিভাবে যদি তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ পান, তাহলে বড় ধরনের খামার করে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত যুবকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করাতে পারবেন।
জহিরুলের মতে, বর্তমান বাজারে ৫-৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কোনো ব্যবসায় তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না। কেউ যদি এ টাকা বিনিয়োগ করে ভেড়া পালন করেন, তাহলে ৬-৭ মাস পর মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখতে পারবেন। বেকার শিক্ষিত যুবকরা যদি ১০-১৫ লাখ টাকা চাকরির জন্য ঘুষ না দিয়ে ভেড়া পালনের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে কথা হয় ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভেড়া পালন আসলেই লাভজনক। অল্প পুঁজিতেই ভেড়া পালন করে লাভবান হওয়া যায় বলে তিনি জানান।