বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। একারণে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে জারি করা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট অধিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আজ বুধবার আবহাওয়া অধিদফতরের এক বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সামান্য পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে উপকূলীয় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় স্থল মৌসুমী নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে আরো বলা হয়, মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পাশাপাশি তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
 
                                 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





