‘র্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়বো, সকলে মিলে সৌন্দর্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবো’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে দুই দিনব্যাপি কর্মসূচির প্রথম দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বিশাল র্যালির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ র্যালি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, এম.পি। র্যালির উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম (শিক্ষা) উপস্থিত ছিলেন।
র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা র্যাগিং বিরোধী বিভিন্ন সচেতনামূলক প্লাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ‘ফাপড় আর ইন্টিমেসি-এক সঙ্গে হয় না’, ‘ভয় দেখিয়ে ভাই ডাকিয়ে, ভাই হওয়া যায় না’, ‘যে সিনিয়র ম্যানারস শেখায়, সেই সিনিয়র ভালোবাসে না’, ‘নিজেদের দেব চেক, দেব না আর র্যাগ’, ‘র্যাগিং এর মধ্যে নয়, এসো ভাই- বোনের সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করি’- ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে র্যাগিং বিরোধী র্যালি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালির শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এম.পি বলেন, ‘র্যাগিং একটি জঘন্য সামাজিক অপরাধ, র্যাগিং একটি অপসংস্কৃতি। এটা শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বিকাশে বাঁধা প্রদান করে। র্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, আমি তার প্রশংসা করছি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এই অপরাধ থেকে রেব হয়ে সুস্থ-সুন্দর ক্যাম্পাস গড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, র্যাগিং একটি নেতিবাচক সামাজিক ব্যধি। এটি নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্থ করছে। ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করতে এবং সবাইকে সচেতন করতে আমাদের এই আয়োজন। র্যাগিং বন্ধে ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। র্যাগিংয়ের বিষয়ে প্রমাণ পেলেই বহিষ্কার করা হবে। নবীনদের ভালবেসে কাছে ডাকলে সম্পর্ক গভীর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়া সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ছাত্র-কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টরসহ প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।