প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এই আবেদন দায়ের করা হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সরকারের সংশ্লিস্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছে।
শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন জানিয়েছেন, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটি হয়রানিমূলক। তার মৌলিক অধিকার লংঘন করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আইনগত ত্রুটি রয়েছে। রিট আবেদনটির ওপর আগামী রবিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
গত বছরের ৫ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। এ মামলায় গত বছরের ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
এই মামলায় গত বছরের ১৫ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। নিম্ন আদালতে মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।