নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই এ আদেশ দেন।
রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মামলায় আসামি রাশেদুল ইসলাম, মুসফিকুর রহমান, হাসান, জাহিদুল হক ও নুর মোহাম্মদ জামিনের আবেদন করেছিলেন। আর ভাটারা থানার করা মামলায় আসামিদের মধ্যে জামিন আবেদন করেছিলেন সাবের আহম্মেদ, শিহাব শাহরিয়ার ও সাখাওয়াত হোসেন।
আসামি পক্ষে আশরাফুজ্জামার দিদারসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা আবু হানিফ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
এর আগে রোববার বাড্ডা থানার মামলায় আসামি তরিকুল ইসলাম, রেদোয়ান আহম্মেদ এবং ভাটারা থানার মামলায় আসামি মাসহাদ মুর্তজা আহাদ ও আজিজুল করিম অন্তরের জামিনের আবেদন নাকচ করেছিল আদালত।
এই ১২ জনসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ ছাত্রকে গ্রেফতারের পর গত ৯ আগস্ট আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। ওই দিন তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত ৭ আগস্ট রামপুরা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর বাড্ডা ও ভাটারা থানায় করা দুটি মামলায় এই ২২ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাড্ডা থানার মামলায় ১৪ ছাত্রকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান।
ভাটারা থানার মামলার আসামি ৮ ছাত্র হলেন আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান,শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।