বৃষ্টিতেই ধুয়ে-মুছে যায় বালু আর ইটের খোয়া

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বারের জাফরগঞ্জ এলাকার করুণ দশা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

বৃষ্টিতেই ধুয়ে-মুছে যায় বালু আর ইটের খোয়া

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৭ অক্টোবর, ২০২০

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তি যেন পিছুই ছাড়ছে না। বেশ কয়েক বছর ধরে এ মহাসড়কটিতে ভোগান্তি মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে প্রায়ই মহাসড়কটি সংস্কার করছে কুমিল্লা সড়ক বিভাগ। কিন্তু তাদের এই সংস্কার কাজ এক মাসের বেশি সময় টিকছে না। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় প্রতিবারই ভিটি বালু আর নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করেই সংস্কার করা হয় সড়কটি। যে কারণে ভালোভাবে একদিন বৃষ্টি হলেই এসব সড়ক থেকে ধুয়ে মুছে যায়। এদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে সড়কের অধিকাংশ এলাকাকুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কয় পিচ উঠে গিয়ে শত শত ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব গর্তে পড়ে প্রতিদিনই যাত্রী এবং মালবাহী যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। বিশেষ করে ছোট আকারের যানবাহনগুলো বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, দেশের ব্যস্ততম কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটি সিলেটের সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চলাচলের প্রধান সড়ক পথ। এ সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিনই সিলেট থেকে কয়েকশ পাথরবাহী ট্রাক চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যায়। বিশেষ করে এ সড়ক ব্যবহার করে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে বিপুল পণ্যবাহী ট্রাক-লরি আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারতের আগরতলায় মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া এ সড়ক ব্যবহার করে দেশের অন্তত ১৫টি জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে আসা-যাওয়া করে পণ্যবাহী যানবাহনগুলো।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ মহাসড়কের কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেবীদ্বার এলাকা পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। এরপর এ সড়কের সবচেয়ে বেহাল অবস্থা দেবীদ্বার এবং কংশনগর এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে দেবীদ্বার এলাকায় সংস্কার কাজ শেষ হলেও কংশনগর আর জাফরগঞ্জ এলাকায় কাজের ধীরগতির কারণে মানুষকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ বলেন, এই মহাসড়কে যে পরিমাণ লোড নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করছে, সড়কটির এর ১০ ভাগের একভাগ ধারণের সক্ষমতাও নেই। বিশেষ করে সড়কটির নিচে ইমপ্রুভ সাবগ্রেড নেই। যে কারণে সড়কটি বেশি লোড বহন

করতে পারে না। পুরো সড়কটি উল্টে নতুনভাবে নির্মাণ করতে হবে। এই মুহূর্তে ইটের খোয়া ও বালু বিটুমিন দ্বারা আমাদের মেরামত কাজ চলছে। আর বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলে সড়কটির পুরোদমে সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads