‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কী করবে বা কী করতে চায়, সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না’ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যে ধরনের প্রার্থী দিচ্ছে, তাতে প্রশ্ন থেকেই যায়, তারা আসলে নির্বাচন নিয়ে কী করতে চায়।’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, তারা জঙ্গিদেরই মনোনয়ন দেবে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই’ বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ শীর্ষ নেতাকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
এ সময় কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ যে নেতৃত্ব, তারা সাধারণত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু এবার আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের বিজেপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের মতো নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রেখেছেন। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, এবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, আহম্মদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে থাকবেন। মঙ্গলবার তাদের ডেকে প্রধানমন্ত্রী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, আরো দেবেন। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সবাই নির্বাচন করে না। ভারতের অনেকেই কিন্তু দলকে সহযোগিতা করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন না।
জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে বিচারের মুখে থাকা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। তারা জঙ্গিকে মনোনয়ন দেবে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি জানি না কী কারণ, কারণ তো আছে। সে কারণটা সত্য সত্যই। সেটা সময়মতো প্রকাশ হবে। আর কামাল হোসেনকে তো ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলা হচ্ছে। কিন্তু কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? এই প্রশ্নটার উত্তর আজো জানা যায়নি। মানুষ স্বাভাবিক কারণে মনে করেছিল, ড. কামাল হোসেনই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। মানুষের সে ধারণার অবসান হলো।
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে কি না, জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘হ্যাঁ, করতেই পারে। কারণ তারা তো নির্বাচনের এক মাস আগেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চায়। এ ধরনের দাবি কি কোনোভাবে যৌক্তিক? সেখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, তারা কি আসলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, নাকি নির্বাচন বানচাল করতে চায়? সাত, দশ বছরের দণ্ড নিয়ে বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটা আদালত রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়কে তো নির্বাচন কমিশনের মানতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।





