ফকিরহাটে কৃষকদের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

ফকিরহাটে কৃষকদের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগ

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল, ২০২০

বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও কৃষকদের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা আতঙ্কে অলস সময় কাটানো কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই মহামারীর প্রভাব থেকে দূরে থাকার সচেতনতামূলক পরামর্শের পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার সবজি বীজ।

স্থানীয় উপ-সহকারী কুষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে লখপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের হাতে এই বীজ তুলে দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছরুল মিল্লাত। একই সঙ্গে তাদের সঠিক দূরত্ব বাজায় রেখে মাস্ক ব্যবহার করে এসব বীজ বপন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, অন্যান্য পেশার মানুষের মত কৃষকদের মাঝেও করোনাভাইরাস আতঙ্ক দেখা দেয়। ফলে কৃষকরা মাঠে না গিয়ে অলস সময় কাটানো শুরু করে। এই সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের গ্রুপ ম্যাসেজিংসহ নানা উপায়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান অব্যহত রাখেন। ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছরুল মিল্লাত নিজের উদ্যোগে চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার পাশাপশি কৃষকরা যাতে অলস সময় পার না করে সেজন্য তাদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে লাল শাক, পুইশাক, মিস্টিকুমড়া, লাউ, ঢেড়স ও শশার বীজ বিতরণ করেন।

লখপুর এলাকার কৃষক শুকুর আলী জানান, বোরো ধানের ফলন ভাল হলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে তিনি মাঠে যাওয়া বন্ধ করে ছিলেন। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ব্যবহার করে জমিতে কাজ করতে বলেন। এরপর তিনি জমিতে গিয়ে ধানের পরিচর্যা করছেন। একই সাথে বিনামূল্যে এই সময়ে সবজি বীজ পেয়ে তিনি বাড়ির আঙ্গিনাসহ বিভিন্ন স্থানে সেই বীজ লাগিয়েছেন।

একই এলাকার শ্রীকান্ত বিশ্বাস বলেন, করোনার ভয়ে বাড়িতে অলস সময় কাটছিল তার। পরে কৃষি কর্মকর্তারা বাড়িতে গিয়ে কয়েক প্রকারের সবজি বীজ দেওয়ার পরে তিনি সেগুলো রোপন করেছেন। বাড়ির পাশের পতিত জমিতে যে ফসল হবে তা তার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছরুল মিল্লাত বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কোনো প্রভাব না পড়ে সে জন্য চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপশি কৃষকরা যাতে অলস সময় পার না করে সেজন্য তাদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামুল্যে লাল শাক, পুইশাক, মিস্টিকুমড়া, লাউ, ঢেড়স ও শশার বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। এতে একদিকে করোনা পরবর্তি সব্জির অভাব মিটবে। অপরদিকে কৃষকদের ঘরের পাশের পতিত জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads