গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পানি নেত্রকোনার দূর্গাপুরে ঢলের পানি রূপ নিয়ে বন্যায়। পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরীর পানি প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। তবে নতুন করে উজান থেকে পানি না আসায় স্বাবাভিক হতে শুরু করেছে সোমেশ্বরীর পানি।
এর আগে, গত ১০ জুলাই বুধবার থেকে বাড়তে শুরু করে সোমেশ্বরীর পানি। ঢলে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুই পাড় ফুলে ফেঁপে উঠে। এর ফলে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়ে কুল্লাগড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হলেও পাহাড়ি ঢলে রূপ নিয়ে বন্যায়। উপজেলার বিরিশিরিতে ২০টি, কাকৈরগড়ায় ৩৫টি, বাকলজোড়ায় ১৯টি, গাঁওকান্দিয়ার ২০টি, চন্ডিগড় ইউনিয়নে ১০টি সহ মোট ১০৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো গ্রামবাসী। বন্ধ হয়েছে ১০টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঢলের পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ২ ও ৫ নং ওয়ার্ড বারইকান্দি, ভূলাপাড়া কামালখালী গ্রাম।বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোমেশ্বরীর তীব্র ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শতাধিক বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় স্থাপনা। ভাঙ্গন আতংকে অনেকই নদীর পার থেকে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে বাসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার জানান, যেসব এলাকা বন্যায় কবলিত হয়েছে ওই এলাকাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছি।