পাবনায় যুবলীগ কর্মী অরিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের আব্দুল হামিদ রোডে মানববন্ধনে অরিনের পরিবারের সদস্য ছাড়াও পৈলানপুর এলাকার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম, পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক মাসুদুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হোসেন, নিহত অরিনের চাচা আব্দুল মান্নান বক্তব্য রাখেন। বক্তারা প্রকাশ্য দিবালোকে অরিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
অরিনের চাচা আব্দুল মান্নান বলেন, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সন্ত্রাসী বাহিনী বিনা কারণে প্রকাশ্যে হাজার হাজার মানুষের সামনে অরিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। অরিনের মাত্র চল্লিশ দিনের শিশু কন্যাকে যারা পিতৃহারা করেছে, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের নামধারী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা কিছু লোকজন নিয়ে হাইব্রীড সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় অরিনকে পরিকল্পিত ভাবে নৃশংস কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অটোবাইক স্ট্যান্ডের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে অরিন খুন হয়েছে বলে প্রচার করে এখন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবী করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শহরের পৈলানপুর মোড়ে অটোবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শরীফ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দু’গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরত্বর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে অরিনের মৃত্যু হয়। নিহত অরিন পৈলানপুর অটোবাইক স্ট্যান্ডের মাষ্টার ছিল।